মিয়ানমার সরকার দাবি করছে রাখাইন রাজ্যে দেড়শোর মতো মুসলিম জঙ্গী এক যোগে বিভিন্ন পুলিশ স্টেশন, সীমান্ত ফাঁড়ি এবং সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পর অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে।
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির অফিস থেকে বলা হচ্ছে, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ জন সদস্য রয়েছে।
মাত্র গতকাল বৃহস্পতিবারই সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কোফি আনানের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার পথ খুলে দেয়ার আহবান জানানোর পর এই ঘটনা ঘটল।
কমিশন তাদের রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সবধরণের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছিল।
মিয়ানমারের সরকারি সূত্রগুলো বলছে, এই সশস্ত্র সংঘাত চলছে রাখাইন রাজ্যের রাথেডং শহরকে ঘিরে, যেখানে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে মিয়নামার সরকার ব্যাপক সংখ্যায় সেনা মোতায়েন করেছিল।
সেখানে নতুন করে সেনা অভিযানের মুখে অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকারও চেষ্টা করছিল।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভোরবেলা অন্তত বিশটি পুলিশ ফাঁড়িতে মুসলিম জঙ্গীরা হামলা চালায়।
মিয়ানমারে সরকারি এক বিবৃতিত বলা হয়েছে ”উগ্রপন্থী বাঙালি বিদ্রোহীরা রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকায় ঘরে তৈরি বোমা, বিস্ফোরক নিয়ে পুলিশ স্টেশনে হামলা চালায় এবং বেশ কয়েকটি পুলিশ চৌকিতে সমন্বিত আক্রমণ করে।”
মিয়ানমার সরকার রাষ্ট্রবিহীন রোহিঙ্গাদের বোঝাতে ”বাঙালি” শব্দটি ব্যবহার করে থাকে। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এরা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ঢোকা অবৈধ অভিবাসী।