[english_date]

মিয়ানমার আন্তর্জাতিক চাপকে খুব বেশী গুরুত্ব দেয় না: রয়েছে বিকল্প পথ!

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর যে দমন পীড়ন চলছে তার অবসানে বিভিন্ন তরফ থেকে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির কথা বলেছেন।জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুটেরেস রোহিঙ্গাদেরকে অন্তত স্বাধীন ঘোরাফেরার অধিকার বা কাজের সুযোগ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার দাবি তুলেছেন। সীমান্তের অপর পাশে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে বুধবার সফরে আসার কথা রয়েছে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলুর।

একই ইস্যুতে আগেরদিন ঢাকা ঘুরে গেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেত্নো মাসুদি। কিন্তু এই যে চাপের কথা বলা হচ্ছে, তাতে কতটা কি কাজ হবার সম্ভাবনা?

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামানের মতে মিয়ানমার দীর্ঘসময় ধরে একলা চলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক চাপকে তারা খুব বেশী গুরুত্ব দেয় না। “নিজস্ব প্রচুর সম্পদ তারা পেয়েছে। চীন তাদের পক্ষে জাতিসংঘে ভিটো দেয়। তাদের যে সামরিক কর্তৃত্ব, সত্তর বছর ধরেই কিন্তু তারা বল প্রয়োগ করে দেশটাকে এক করে রেখেছে”।

তবে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে মিয়ানমারকে নিয়ন্ত্রণে আনা যেতে পারে বলে মনে করেন প্রফেসর শাহীদুজ্জামান। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে ইন্দোনেশিয়া আর তুরস্ক মিলে একটি সামরিক জোট করা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

“এই কোয়ালিশনের (জোট) মাধ্যমে সরাসরি যদি মিয়ানমারকে হুঁশিয়ারি দেয়া যায় যে, পরিণতি অত্যন্ত শোচনীয় হবে এবং যদি তারা উইথড্র না করে নেয় তাহলে সামরিক পদক্ষেপ অসম্ভব কিছু না, এই ধরণের চাপ সৃষ্টি করা, সেটা কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক নেতা যারা, তারা এই ভাষাকেই বুঝবে”।”এই ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষাকে তারা মোটেই গুরুত্ব দেবে না”।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ