মিনায় ৯ বাংলাদেশি হাজির মরদেহ সনাক্ত নিখোঁজ ৯৮
সৌদি আরবের মিনায় পদদলিত হয়ে নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ৯ জন হাজির মরদেহ সনাক্ত করতে পেরেছে হজ এজেন্সি এবং নিহতদের স্বজনরা।
নিহত হাজিরা হলেন- জামালপুরের বাসিন্দা ফিরোজা বেগম (৫৪)। সুনামগঞ্জের হাজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা জুলিয়া হুদা (৪০)। ফেনীর তাহেরা বেগম (৭৩) এবং তার ভাই নূর নবী মিন্টু (৬৯) মুন্সীগঞ্জের জাহানারা আরজু, বি-বাড়িয়ার গোলাম মোস্তফা, শরিয়তপুরের এম এ রাজ্জাক ও হাসিনা আক্তার, দিনাজপুরের কেরামত আলি। এ ঘটনায় আরো অনেক বাংলাদেশি হাজি নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাত থেকেই মিনায় পদদলিতদের মৃতদেহগুলো সনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে, সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের হজ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, মিনা ট্রাজেডিতে নিহতদের মধ্যে ৮২ জনের ছবি প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। পর্যায়ক্রমে বাকিদের ছবিও প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি জানান, নিহত ৮২ জনের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি হাজি থাকলে শনিবার রাতেই তাদের ছবি প্রকাশ করবে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের মেডিকেল টিম ছবিগুলো সংগ্রহ করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়েছে।
তবে এই ৮২ জনের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন তা জানাতে অপারগত প্রকাশ করে তিনি বলেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষেই ছবিগুলো প্রকাশ করা হবে।
এছাড়া এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মোট ৯৮ জন বাংলাদেশি হাজির নিখোঁজ থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন আসাদুজ্জামান।
শনিবার তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পরই বিভিন্ন উৎস, হটলাইনে করা ফোন ও পরিবারের স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিখোঁজ মোট ১২৮ জন হাজির তালিকা তৈরি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এদের মধ্য থেকে ৩০ জনকে খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু ৯৮ জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, হজের রীতি অনুসারে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের জন্য যাওয়ার পথে গত বৃহস্পতিবার মিনার ২০৪ নম্বর সড়কে পদদলিত হয়ে ৭১৭ জন নিহত ও আট শতাধিক আহত হয়েছেন।