মিথ্যাচারের জন্য যদি কোনো নোবেল থাকত, তাহলে সেটা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পেতেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের (বিবিএ) বোর্ড সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বে কোনো দলকে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার বিধান নেই। থাকা উচিতও নয়। যদি থাকে তাহলে মিথ্যাচারের জন্য বিএনপিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া উচিত। মিথ্যাচারের জন্য কাউকে যদি নোবেল পুরস্কার দেয়া হতো, তাহলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তার সহযোগী নেতারা পেতেন।
কাদের বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধুদেশ। ডোনান্ড লু কী বলেছেন সেটার ভিডিও আছে। এটা আমার কথা নয়, তার কথা, মিথ্যাচারও না। তিনি সরকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশংসা করেছেন। বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলেছেন।’
বিএনপির শাসনামলে দেশে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বিএনপির আমলে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের সৃষ্টি। এখন এরা চুপচাপ থাকলেও গোপনে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় বড় ধরনের নাশকতা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কি কোনো প্রকার সংঘর্ষ বা সংঘাত সৃষ্টি করছে? আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে বিএনপির সঙ্গে কোনো সংঘাতে জড়িয়েছে এমন কোনো চিত্র তারা দেখাতে পারবে না। বিএনপির কর্মসূচি মানেই গাড়ি ভাঙচুর ও আগুনসন্ত্রাস করা। তাই ক্ষমতাসীন দল হিসেবে জনগণের জানমাল রক্ষায় কর্মসূচি দিয়ে মাঠে আছি। যাতে তারা (বিএনপি) কোনো নাশকতা করতে না পারে। এ জন্য আওয়ামী লীগ সতর্ক অবস্থানে থাকে। বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সংঘাত করার ইচ্ছে নেই।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, বিএনপি তাদের কার্যালয়ের সামনে পল্টনে সভা-সমাবেশ করলে সেখানকার রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর কার্যালয়ের সামনে সভা-সমাবেশ করলে কোনো রাস্তা বন্ধ হয় না।
‘গণতন্ত্র উদ্ধার করতে দেশের জনগণ মাঠে রয়েছে’—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, গণতন্ত্র অনেক আগেই উদ্ধার হয়েছে। নতুন করে গণতন্ত্র উদ্ধার করার কিছু নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শৃঙ্খলা অনুযায়ী গণতন্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বিএনপি কবে কতটা গণতন্ত্র উদ্ধার করেছে? তারা তো গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।
এ সময় বিবিএ বোর্ডসভার কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুতে শুধু রাষ্ট্রপতির টোল লাগবে না। এ ছাড়া সবাইকে টোল দিতে হবে। তবে জরুরি সার্ভিসগুলো যেমন: ফায়ার সার্ভিস এদের টোল দিতে হবে না।
