রবিবার বিকালে সাংবাদিকদের আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছিলেন, “হত্যাকারীদের আদর্শে বিশ্বাসী বলেই হয়তো পুত্র দীপন হত্যার বিচার চাননি বাবা আবুল কাসেম ফজলুল হক।”
হানিফের এমন বক্তব্যর পর রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম ও টেলিভিশন টক-শো তীব্রভাবে সমালোচনামুখর হয় তার বিরুদ্ধে।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনের মৃত্যুর পর তার বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হকের একটি মন্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, তা নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছে।
সমলোচনা হয়েছে এমনকি খোদ দলের মধ্যেও। গতকাল মধ্যরাতে তাকে ইঙ্গিত করে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
“আমি লজ্জিত একজন অর্বাচীনের মন্তব্যে। আরো মাহবুব উল আলম হানিফের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী তার নামের সাথে আমার নামের কিছুটা মিল আছে বলে।”
নানা সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই হানিফ তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, তার দেওয়া বক্তব্যে এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। তিনি তার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন, ‘আমি কোনো বিচার চাই না’ আবুল কাশেম ফজলুল হকের এই মন্তব্যে তার ছেলে দীপনের খুনিরাই বরং উৎসাহিত হবে।
গত শনিবার আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ছেলের মরদেহ পাওয়ার পর দীপনের বাবা বলেছিলেন, লালমাটিয়ায় যারা হামলা করেছে, তারাই তার ছেলেকে হত্যা করেছে বলে তার বিশ্বাস। এই সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি কোনো বিচার চাই না।”
অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, “এ দেশের আদালতে বিচার চেয়ে লাভ কী? মানুষের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। শুধু নিয়ম অনুযায়ী আদালতে ছেলে হত্যার একটি মামলা করবো। আশা করি উভয় পক্ষেরেই শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।”