মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন চামড়া শিল্পে কর্মরত শ্রমিকরা। চর্মরোগসহ ব্রেইন ও ফুসফুসের ক্যান্সারের আশঙ্কা থাকলেও কারখানা মালিকরা বলছেন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে সজাগ রয়েছেন তারা। তবে ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে কি না -সেদিকে নজর বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের।
কাঁচা চামড়া সংগ্রহের পর, এর প্রক্রিয়াকরণের বিভিন্ন ধাপে ব্যবহার করা হয় ক্ষতিকর ক্রোমিয়ামসহ ৩০ থেকে ৪০ রকম রাসায়নিক পদার্থ। এসব রাসায়নিক পদার্থের সংস্পর্শে কাজ করার ফলে চর্মরোগ, ক্ষুধামন্দাসহ আন্ত্রিক জটিলতা, কিডনি সমস্যা থেকে শুরু করে ব্রেইন ও ফুসফুসের ক্যান্সার ঝুঁকিতে পড়েন চামড়া প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতরা। এমন বাস্তবতায়, জীবনের ঝুঁকি মেনে নিয়েই, জীবিকার তাগিদে এই শিল্পে কাজ করছেন ৫০ হাজারের বেশি শ্রমিক।
তবে চামড়া শিল্পের কর্মপরিবেশ আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে দাবি করে কারখানা মালিকরা বলছেন, শ্রমিকরা সব সময় ব্যবহার না করলেও তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায়, কর্মক্ষেত্রে দরকারি সব উপকরণই সরবরাহ করা হয়। এছাড়া, বেসরকারি কয়েকটি স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানও কাজ করছে বলেও জানান তারা।
এদিকে, এই শিল্পে কর্মরতদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময় পরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এ শিল্পে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থের ক্ষতি বিবেচনায় দীর্ঘদিন এই শিল্পে কাজ না করার পরামর্শও চিকিৎসকদের।
























