মাঠে সময়টা ভালো না গেলেও, মাঠের বাইরে দারুণ সুখবরই পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। নিজের সাবেক স্পনসর কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে তিনি জিতেছেন ৪ লাখ ২২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা)।
অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে রোমাঞ্চর জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। টেলএন্ডার ব্যাটার প্যাট কামিন্স ও নাথান লায়নের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে অজিরা। কিন্তু ম্যাচে ব্যাট হাতে অবদান রাখতে পারেননি ওয়ার্নার। দুই ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৯ ও ৩৬ রান।
শুধু অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট নয়, চলতি বছর খেলা সব টেস্টেই ব্যর্থ ছিলেন ওয়ার্নার। পাঁচ টেস্ট খেলে একটি ফিফটিরও দেখা পাননি তিনি। সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নিশিপের ফাইনালে। মাঠে যখন তার এমন খারাপ সময় কাটছে তখন সুখবর পেয়েছেন আদালত থেকে।
২০১৮ সালে স্পার্টান নামের অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন ওয়ার্নার। তবে বেশ মোটা অঙ্কের ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ধসে পড়ে স্পার্টান। এরপর মালিকানা পরিবর্তন হয় কোম্পানিটির। কয়েকজন প্রাইভেট বিনিয়োগকারী কোম্পানিটি কিনে নেয়। এদিকে ২০২১ সালে ওয়ার্নার স্পার্টান থেকে সরে গিয়ে এখনকার স্পনসর ডিএসসির সঙ্গে চুক্তি করেন। তবে তখনো স্পার্টানের সঙ্গে তার আর্থিক ঝামেলা মেটেনি।
কোম্পানিটি স্পন্সর বাবদ অজি তারকার টাকা পরিশোধ করেনি। যার কারণে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। এ বিষয়ে ওয়ার্নারের এজেন্ট নিউজ কর্পকে বলেন, ‘স্পার্টান আমাদের টাকা পরিশোধ করেনি। ফলে ডেভিডের সঙ্গে আমরা আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
যার পরিপ্রেক্ষিতে সিডনির জেলা আদালতের বিচারক ম্যাথু ডিকার স্পার্টান স্পোর্টসের মালিক দুই কোম্পানি স্পার্টান স্পোর্ট করপোরেশন ও এসএস ম্যানেজমেন্ট অস্ট্রেলিয়াকে নির্দেশ দেন ওয়ার্নারকে ৪ লাখ ২২ হাজার ৭২৭ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পরিশোধের।
মামলার লড়াইয়ে জেতার পর তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশান্তির হাওয়া বয়ে যাওয়ার কথা ওয়ার্নারের মনে। এ প্রশান্তি কতটা স্বস্তি ফেরাতে পারে তার মাঠের পারফরম্যান্সে, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৮ জুন পর্যন্ত। এদিন অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড।