[english_date]

‘মাবিয়া আপাকে ছাড়িয়ে যেতে চাই’

মারজিয়া আক্তার ইকরা- ভারোত্তোলন জগতে উদীয়মান তারকা। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ভারোত্তোলক সংগঠকদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। এ মাসে গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে অনুষ্ঠিত জুনিয়র ওয়ালর্ন্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে পঞ্চম হয়ে ফিরেছেন।

কিশোরগঞ্জের এই উদীয়মান কিশোরী আগামীতে দেশের সেরা খেলোয়াড় হতে চান। কথা বলেছেন তার অনুশীলন ও লক্ষ্য নিয়ে।

জাগো নিউজ : ফেডারেশনের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন ট্রায়ালে আপনি ধীরে ধীরে উন্নতি করছেন। সর্বশেষ যে ট্রায়াল হলো সেখানে আপনি আগের চেয়ে ৫ কেজি বেশি তুলেছেন। নিজেকে কিভাবে তৈরি করছেন?

মারজিয়া ইকরা : আমি এখনো নতুন খেলোয়াড়। মাত্র দুটি ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছি। ১৩ তম আসরে ৪৫ কেজি ওজন শ্রেণীতে ও ১৪ তম আসরে ৪৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নিয়ে স্বর্ণ জিতেছি। আমি পরিশ্রম করছি। কোচের গাইডলাইন অনুযায়ী অনুশীলন করছি। এভাবেই নিজেকে তৈরি করছি।

জাগো নিউজ : আপনার ভবিষ্যত লক্ষ্য কী?

মারজিয়া ইকরা : আমার একটাই লক্ষ্য বড় খেলোয়াড় হওয়া। সে লক্ষ্য নিয়েই অনুশীলন করে যাচ্ছি। এখন দেশের বড় ভারোত্তোলক মাবিয়া (মাবিয়া আক্তার সীমান্ত) আপা। আমি যেন তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারি সেভাবেই খেলায় মনোনিবেশ রাখবো।

জাগো নিউজ : এ মাসেই গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সে অনুষ্ঠিত জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে কেমন পারফরম্যান্স হয়েছিল?

মারজিয়া ইকরা : আমি সেখানে ৪৯ কেজি ওজন শ্রেণীতে অংশ নিয়ে পঞ্চম হয়েছিলাম। প্রথম হয়েছিল ইন্দোনেশিয়া, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছিল ভারত এবং চতুর্থ হয়েছিল মরক্কো।

জাগো নিউজ : এখন পর্যন্ত কয়টি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন?

মারজিয়া ইকরা : দুটি জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ, একটি ইসলামিক সলিডারিটি চ্যাম্পিয়নশিপ ও একটি ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েছি। এর মধ্যে এ মাসের গ্রীসের আসরেই সেরা ফলাফল করেছি।

জাগো নিউজ : আপনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কবে থেকে চাকরি করেন?
মারজিয়া ইকরা : আমি ২০২১ সাল থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে চাকরি করছি।

জাগো নিউজ : আগামী এসএ গেমসে হয়তো খেলার সুযোগ পাবেন। যদি পান তাহলে লক্ষ্য কি?
মারজিয়া ইকরা : যদি এসএ গেমসে খেলার সুযোগ পাই তাহলে স্বর্ণ জেতাই হবে আমার একমাত্র লক্ষ্য।

জাগো নিউজ : আপনার ভারোত্তোলক হওয়ার পেছনে কার অবদান বেশি?

মারজিয়া ইকরা : আমার কোচ শাহরিয়া সুলতানা সূচি ম্যাডামের অবদান বেশি। এ ছাড়া মহিউদ্দিন আহমেদ (ফেডারেশনের সহসভাপতি) স্যারও আমাকে অনেক সহযোগিতা করেন।

জাগো নিউজ : ধন্যবাদ।
মারজিয়া ইকরা : আপনাকেও ধন্যবাদ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ