মানিকগঞ্জে চুরি হচ্ছে একের পর এক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার। গত পাঁচ বছরে জেলায় সাড়ে চার শ ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে হয় চুরি। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ। চুরি রোধে টহল বাড়িয়েছে পুলিশ।
শিবালয় উপজেলার শাহেলী গ্রামের ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে একতা সুপার মার্কেট। এখানে বিদ্যুতের পাওয়ার বাড়াতে ১০ কেভির একটি ট্রান্সফর্মার বসানো হয়। ট্রান্সফর্মার স্থাপনের চার মাসের মধ্যে সম্প্রতি সেটি চুরি হয়ে যায়।
শুধু একতা সুপার মার্কেট নয়, গত ছয় মাসে সাহেলী গ্রামের সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন কেভির ছয়টি ট্রান্সফর্মার চুরি হয়। পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের লাইন স্থাপনকারী অসাধু কিছু কর্মচারী চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা বলছেন, পল্লীবিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে চুরি হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহা-ব্যবস্থাপক সুলতান নাছিমুল হক বলেন, ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে গ্রাহকদের সচেতন হতে হবে।
ট্রান্সফর্মার চুরির ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে গ্রাহক ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিকে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্যমতে, পাঁচ বছরে চার শ ট্রান্সফর্মারের জন্য ক্ষতি হয়ে আড়াই শ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বশির আহমেদ বলেন, ট্রান্সফর্মার চুরি ঠেকাতে টহল বাড়ানো হয়েছে।