১৯শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মানবসেবার মধ্য দিয়েই রাজনীতিকদের সমাজে বিচরণ করতে হবে

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী রাজনীতির ঘরানার ঐতিহ্যের সাথে প্রয়াত শেখ জমির আহমদের নাম নিবিড়ভাবে মিলে মিশে আছে। তিনি ব্যবসায়ী ও ধনাঢ্য পরিবারের সন্তান। এই ত্যাগী মানুষটি অর্থ বিত্তের জন্য রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নি। বরং রাজনীতি ও মানবসেবার জন্য নিজের পরিশ্রমলব্ধ ধন-সম্পদ অকাতরে বিলিয়ে গেছেন। তাঁর এই ত্যাগদৃপ্ত জীবনাদর্শ থেকে বর্তমান প্রজন্মের রাজনীতিকদের অনেক কিছু শেখার আছে।

তিনি আজ ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনষ্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জমির আহমদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ জমির আহমদ স্মরণে শিশু-কিশোর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার বিজীয়দের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

তিনি প্রয়াত রাজনীতিক মরহুম শেখ জমির আহমদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে তিনি দলকে চাঙ্গা রাখতে সচেষ্ট ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরবর্তী সময়ে যারা প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেছেন তখন শেখ জমিরের বাসভবন ছিল তাদের আশ্রয়স্থল। তিনি নেতা হিসেবেই নয়, মানবসেবার মধ্য দিয়েই সমাজে বিচরণ করেছেন। তাঁর এই ভূমিকায় দলের ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করি, বিশেষভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্র্শকে ধারণ করি তাদেরকে শুধু মুখের কথা নয়, চারিত্রিক শুদ্ধতা ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতায় নিজের ভাবমূর্তিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলেই নৈতিকার মানদন্ডে জনগণ আমাদেরকে মাথায় তুলে রাখবে।

প্রধান আলোচকের ভাষণে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবউদ্দিন বলেন, প্রয়াত শেখ জমির আহমদের মত পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকরাই পারেন দেশ ও জাতিকে সম্মানের উঁচু জায়গায় পৌছে দিতে। আজ রাজনীতিতে বর্ণচোরারা বিলবিল করছে। এরা নষ্ট মানুষ। এই নষ্টদের কবল থেকে জাতিকে উদ্ধার করতে হবে। তিনি শেখ জমির আহমদের সন্তান শেখ মুজিব আহমদকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে অবহিত করে বলেন, এই তরুণ তার পিতার ব্রতকে ধারণ করে লেখক হয়ে উঠেছেন এবং সমাজের মঙ্গল চিন্তা করেছেন-এটা আশার আলো।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর আলহাজ্ব এইচ এম সোহেল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সংস্কৃতিকর্মী খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান বুলু, মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দিন চৌধুরী, জাতীয় শ্রমিকলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন খান, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশনের নির্বাহীূ সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ডা. মো. নুরুল ইসলাম, ভেলুয়ারদিঘী স প্রা বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আবুল আহমেদ, প্রয়াত পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রাখেন মরহুমের সুযোগ্য সন্তান লেখক ও প্রাবন্ধিক শেখ মুজিব আহমেদ, শেখ রাজীব আহমেদ, সমাজসেবক জাফর উল্লাহ খান, পাহাড়তলী বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এস.এম নিজাম উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সাহাব উদ্দিন, নগর যুবলীগের সদস্য সুমন দেবনাথ, যুবলীগ নেতা মো: জসিম উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবলীগ নেতা জসিম উদ্দিন মিঠুন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ইয়াছির আরাফাত, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. শাকিল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামীলীগ নেতা মঞ্জুর হোসাইন, মো. ঈসা, ডা: তিমির বরণ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য রায়হান ইউসুফ, আবদুল মান্নান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, সংস্কৃতিকর্মী নজরুল ইসলাম মোস্তাফিজ, দিলীপ সেনগুপ্ত, সজল দাশ, ছাত্রলীগ নেতা বোরহান উদ্দিন গিফারী, জালাল উদ্দিন রানা, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ