[english_date]

মাজেদের মৃত্যু পরোয়ারার নথি লাল সালু কাপড়ে মোড়ানো আদালত থেকে কারাগারে

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ারার নথিটি  লাল সালু কাপড়ে মোড়ানো আদালত থেকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এবার কারাবিধি অনুযায়ী রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার সুযোগ পাবেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর কড়া পাহারায় কারাগার থেকে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানার শুনানির পর আদালত আসামির বক্তব্য শোনেন। এ সময় আসামি ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ আদালতের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মশোররফ হোসেন কাজল বলেন, তিনি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাজেদ। ৭৫ এ তার ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এরপরে তিনি কি করেছেন কোথায় ছিলেন জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালত তার ব্যাপারে সুনিশ্চিত হয়ে দণ্ডাদেশ জারি করেছে।

আদালত কর্তৃক মৃত্যু পরোয়ানা জারিকৃত লালসালু কাপড়ে মোড়ানো নথি কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। জেলকোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ রায় কার্যকরের ব্যবস্থা করবেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মশোররফ হোসেন কাজল বলেন, জেল কর্তৃপক্ষ তার মৃত্যু পরোয়ানার ব্যাপারে পুনরায় অবহিত করবেন। তারপর সমন্বিতভাবে একটা তারিখ ঠিক করে আদালতে দণ্ডাদেশ কার্যকর করবে।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ। ৪৫ বছর দেশের বাইরে পলাতক থাকার পর গত ৬ এপ্রিল গভীর রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয় এই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ