ঈদের বাকী আর অল্প কয়েকদিন। চলছে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি। কিন্তু এরই মধ্যে কয়েকদফা বৃষ্টিতে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে তৈরি হয়েছে খানা-খন্দক। পাশাপাশি মহাসড়কগুলোতে যানজট দেখে এখন থেকেই ঈদযাত্রা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যদিও হাইওয়ে পুলিশ আশ্বস্ত করছে, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখার সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। তবে এ কাজে পরিবহনচালক, টার্মিনাল ও স্থানীয় হাট-বাজার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতাও প্রয়োজন।
ঈদের আগেই খানা-খন্দময় মহসড়ক। যথারীতি তা সারাতে চলছে জোড়াতালির সংস্কার। রাস্তার ক্ষতে দেয়া হচ্ছে পাথর-বিটুমিনের প্রলেপ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এই অংশটির মতোই কমবেশি অন্যান্য মহাসড়কগুলোতেও চলছে বৃষ্টিতে বেরিয়ে পড়া খানা-খন্দ মেরামত। তবে সংস্কারের মাধ্যমে রাস্তার উন্নতি হলেও যানজট নিয়ে আতংক কাটছেই না পরিবহন সংশ্লিষ্টদের। তবে হাইওয়ে পুলিশ বলছে, মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত টাঙ্গাইল ও গাজীপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে রোড ডিভাইডার, রেকার সহ বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করে ঈদের পরিস্থিতি সামাল দেয়ার পরিকল্পনা তাদের। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-ময়মনসিংহ সহ সকল মহাসড়কেই ওয়াচটাওয়ারের মাধ্যমে থাকবে দিনরাত নজরদারি।
এসবের পাশাপাশি ঈদের তিনদিন আগে ও পরে মহাসড়কে ট্রাক-লরি-কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখা, রাস্তায় গড়ে ওঠা হাট-বাজার উচ্ছেদ, যত্র-তত্র পার্কিং বন্ধ এবং এলাকাভেদে পোশাক কারখানাগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছুটি দেয়া সহ নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।