[quote font=”arial”]গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট চট্টগ্রাম শহরের মসজিদ-ই-আমবিয়াকে রক্ষা করার জন্য এলাকাবাসীর ফরিয়াদ[/quote][ad id=”28022″]
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন। দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম, ধৈর্য, মেধা, মনন ও ত্যাগের বিনিময়ে দেশ এগিয়ে চলছে। দেশ আপনার নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে এবং আরো এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ। আমরা চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাটের চান্দগাঁও থানার পূর্ব ষোলশহর এলাকার ওমর আলী মাতব্বর রোডের বাসিন্দা। চট্টগ্রাম শহরের বাড়াই পাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত প্রস্তাবিত ৬ কি.মি লম্বা ও ১০৫ ফুট প্রসস্থ খালের নামে নদী খননের প্রকল্প যেটা সিটি কর্পোরেশন সীমানা নির্ধারণের মাধ্যমে তদারকি করছে। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রকল্পটা হাতে নেয়া হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই ব্যয়বহুল প্রকল্পটি বিএনপির তৎকালীন সিডিএর চেয়ারম্যান কর্তৃক গৃহীত। সে সময়েও এলাকাবাসী প্রকল্পটির বিরোধীতা করেছিল। প্রকল্পটি জনসম্পৃক্ততা ছিল না কেবল কর্মকর্তা দ্বারা পরিকল্পিত। উল্লেখ্য, চাক্তাই খাল (মূল খাল) যেমন (২৫-৩০ ফুট) প্রকল্পে খাল খননের নামে ১০৫ ফুট নদী খননে পাঁয়তারা করা হয়েছে। ফলে চাক্তাই খাল (মূল খাল) সম্পূর্ণভাবে অকার্যকর হয়ে যাবে। এতে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেয়ে প্রকট হবে। প্রকল্প গৃহীত হওয়ার আগে ও পরে এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা, জানানো, মতামত বা পরামর্ম কোনটাই নেয়া হয়নি। নতুন খাল খননের ফলে মসজিদ-ই-আমবিয়া, ইউসেফ বদিউর রহমান মেমোরিয়াল স্কুল, মানুষর ঘরবাড়ি ও স্থাপনা এবং সর্বোপরি গৃহায়নের জন্য জমির সর্বনাশ ছাড়া কিছুই নয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, চট্টগ্রামের চাক্তাই খাল যেমন মেইনটেন্যান্স-এর অভাবে অকার্যকর (মাটি ভরাট হয়ে খালের পাড়ের সাথে লেগে আছে)। নতুন খাল খনন করলেও একই কারণে কার্যকর হবে না। কেননা এত বড় খালের নামে নদী সচল রাখার মত অভিজ্ঞ লোকবল ও অর্থের অপ্রতুলতা থেকেই যাবে। তা ছাড়া খাল খননের অভিজ্ঞতা না থাকায় খনন কাজও মানসম্মত হবে না এবং কর্ণফুলী নদী ভরাট থাকায় খালের পানির প্রবাহিত না হয়ে জলাবদ্ধতা আরো তীব্র হবে নিঃসন্দেহে। এতবড় খাল হলে স্পিডবোর্ডের মাধ্যমে ডাকাতিও বেড়ে যাবে। প্রস্তাবিত ১০৫ ফুট খালের নামে নদী খননের প্রকল্পে কোন সরকারী ও বেসরকারী স্থাপনা না থাকায় প্রস্তাবিত এত বড় রাস্তা ও অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও ব্যয়বহুল। উল্লেখ্য, সিডিএর চেয়ারম্যান সাহেব ও বিভিন্ন সভা সেমিনারে প্রস্তাবিত খালের যৌক্তিকতার প্রশ্ন তুলে খাল খননের পুনঃবিবেচনার কথা বললেও কোন পদক্ষেপ নিতে আমরা দেখছি না। নতুন খাল খননের ফলে অনেক সেতু ও কালভার্ট তৈরি করতে হবে। সার্বিকভাবে জনদুর্ভোগ বাড়বে। কর্ণফুলী ড্রেজিং-এর মালয়েশিয়ান কোম্পানীর মতো প্রকল্প ফেলে ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। এর ফলে প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি আরো বেড়ে যাবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির তৎকালীন মেয়র বিভিন্ন সভা সেমিনারে ও সাংবাদিকদের নতুন খাল সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে ২৯৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬৫ ফুটের খাল খননে সংশোধিত প্রস্তাব একনেকে পাস হয়েছে বলে জানান এবং সরকার টাকা বরাদ্দ করলে খাল খননের কার্যক্রম আরম্ভ করবেন বলে বলেন। পাশ হওয়া প্রস্তাবে এতদিন এলাকার লোকজন জেনেছে যে, মসজিদ-ই-আমবিয়া, ইউসেফ স্কুল ইত্যাদি অধিগ্রহণের আওতায় পড়েনি। হঠাৎ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা এসে সীমানার দক্ষিণ দিকের বিস্তর জায়গা বাদ দিয়ে উত্তর দিকে চলে আসায় মসজিদ-ই-আমবিয়া, ইউসেফ স্কুল ইত্যাদি অধিগ্রহণের আওতায় পড়ে যায়। দক্ষিণ দিকে বিস্তর জায়গা থাকার পরও কেন অধিগ্রহণে না এনে উত্তর দিকে এসে মসজিদ-ই-আমবিয়া, ইউসেফ স্কুল ইত্যাদি অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত করা হল তা এলাকার জনসাধারণের মনে নতুন ১০৫ ফুটের খাল খননের নামে নদী খননের সীমা নির্ধারণে স্বচ্ছতার অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পূর্বের মেয়র মহোদয়রা বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি জমে যাওয়াটাকে জলাবদ্ধতা না বলে কয়েক ঘন্টার জলজট হিসেবে অবহিত করেছেন। তবুও মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষজ্ঞদের মতে কর্ণফুলীর ভরাট মাটি অপসারণ, নিয়মিত খালের মাটি খনন, নালা নর্দমা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা একান্ত প্রয়োজন। চাক্তাই খালের মুখে কর্ণফুলীর ভরাট মাটি অপসারন ও সুইচ গেইট নির্মাণসহ একাধিক প্রকল্প সিটি কর্পোরেশন গ্রহন করেছেন। এতে আমরা আনন্দিত এবং নতুন খাল খননের কোন প্রয়োজন হবে বলে মনে করি না। আমরা মনে করি যদি খাল খনন নিতান্তই করতেই হয় চাক্তাই খাল সমতুল্য (২৫-৩০ ফুট) অথবা রাস্তাসহ ৪০ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে নতুন খাল খননের পুনঃবিবেচনার মাধ্যমে গ্রহণ করার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ ও নির্দেশ প্রদানের জন্য বিনীত প্রার্থনা করছি। এতে করে মসজিদ, স্কুল ব্যাপকভাবে মানুষের ঘরবাড়ি এবং গৃহায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং এলাকায় অধিগ্রহণের নামে ব্যাপক ম্যাসাকার হবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আপনার হস্তক্ষেপে ও নির্দেশে নতুন খাল খননের প্রকল্পটি ৪০ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে জরুরি ভিত্তিতে পুনঃবিবেচনার নির্দেশ প্রদানের জন্য এলাকাবাসী আপনাকে বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি। প্রস্তাবিত খাল পুনঃবিবেচনায় ৪০ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে এবং দক্ষিণ দিকে বিস্তর জায়গা সংযুক্ত করে সীমানা নির্ধারন করলে মসজিদ-ই-আমবিয়া, ইউসেফ বদিউর রহমান মেমোরিয়াল স্কুল, ইমারত, বসতবাড়ি, কৃষি জমি ইত্যাদি অধিগ্রহণ থেকে রক্ষা পাবে। খাল খননের ব্যয়ভার ও ক্ষতিপূরণের টাকাও অবিশ্বাস্যভাবে কমে যাবে। সরকারের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে। আমরা আপনার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকব। আল্লাহ আপনার সদয় হোন।
মসজিদ-ই-আমবিয়া পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর পক্ষে মমতাজ উদ্দিন মসজিদ-ই-আমবিয়া ৭০৬, ওমরা আলী মাতব্বর রোড পূর্ব ষোলশহর, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৭১৬-৩৯৫৩৩৭ জাহাঙ্গীর আলম বহদ্দার বাড়ি, ওমরা আলী মাতব্বর রোড পূর্ব ষোলশহর, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৮১৫-৫৬১৮৬৩ জানে আলম চৌধুরী বহদ্দার বাড়ি, ওমরা আলী মাতব্বর রোড পূর্ব ষোলশহর, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৫৫৪-৩৫৫৯৭৮ হাজী বাদশা মিয়া ৬৯৬, ওমরা আলী মাতব্বর রোড পূর্ব ষোলশহর, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম। মোবাইল : ০১৮১৫-৬১২৮২৭