একঝলক দেখেই কেঁপে উঠেছিল বুকের বাঁ দিকটা । মনে হয়েছিল খোঁজাটা বোধহয় এবারে শেষ হল । এতদিন ধরে হন্যে হয়ে যাঁকে খুঁজে মরলেন, সে অবশেষে ধরা দিল । আর তারপর থেকেই তো ক্লাসে পড়া শোনার ফাঁকে, কলেজের সবুজ ঘাসের মাঠে, পার্কে আপনাদের প্রেমটাকে রীতিমতো স্বর্গীয় করে তুলছেন । কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে যেন কেমন সব গোলমাল ঠেকছে। কিছুতেই হিসেব মেলাতে পারছেন না । তবে কী তাল কাটছে ছন্দে ? বোঝার উপায় দিচ্ছি আমরা ।
ফোন করছেন, কথা হচ্ছে। সবই ঠিক আছে । কিন্তু কোথায় যেন সেই আগের ব্যাপারস্যাপার নেই । যতটুকু কথা হচ্ছে, তার বেশিরভাগই ফর্মাল কথাবার্তা, নয়তো দু’জনেই চুপচাপ । এই লক্ষণ কিন্তু ভাঙনের প্রথম ধাপ। ধরুন, সঙ্গীর সঙ্গে রেস্তঁরায় গেছেন। সেখানে কথা বলার মতো কোনও টপিকই খুঁজে পাচ্ছেন না। এও কিন্তু ভাঙনের যোগ বলে অনেকে ধরে নেন । সম্পর্কে যখন আর কিছু থাকে না, তখন এই ধরনের অনুভূতি হয় ।
এতদিন যে আপনাকে একবার দেখতে না পেলে পাগল হয়ে যেত, সেই এখন আপনাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। দেখা করার কথা বললেও নানা বাহানায় তা কাটিয়ে দেয় । ফোন করলে কথা বলতে চায় না, বা SMS-এর উত্তর মেলে না। এসবের মানে কিন্তু আপনার সম্পর্কটা একদম শেষ সীমায় দাঁড়িয়ে । কারণ, দেখা যায় আমরা যাঁকে ভালোবাসি, তাঁদের বারবার দেখতে চাওয়া বা কথা বলতে চাওয়াটা একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি । এতে কোনও অপরাধ নেই । কিন্তু উলটোটা হলেই চিন্তার বিষয় । এ ক্ষেত্রে আপনাকে বুঝতে হবে নিজের ভুলগুলো । কেন আপনার সঙ্গী সম্পর্কটা নিয়ে আর এগোতে চাইছেন না ? রোগ খুঁজে ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে আপনাকেই ।
ইদানিং আপনার ব্যাপারে আর কোনও আগ্রহই দেখাচ্ছেন না আপনার সঙ্গীটি । কী খেলেন, কোথায় গেলেন, সারাদিনের কাজকর্ম – কোনও কিছুতেই কোনও উৎসাহ দেখাচ্ছেন না । এটিও কিন্তু চিন্তার বিষয়। সম্পর্কে যখন একে অপরের প্রতি কোনও অনুভূতি বেঁচে থাকে না, তখনই কেউ কারও বিষয়ে খোঁজ নিতে আগ্রহ দেখান না ।
যদি এই ধরনের কোনও লক্ষণ আপনার সম্পর্কেও দেখতে পান, তবে এখনও বেশি দেরি হয়নি । কথা বলুন সঙ্গীর সঙ্গে । নিজের ভুলগুলো বুঝুন । তাঁকে বোঝান । দেখবেন, আপনার ভালোবাসা আপনারাই আছে ।
আর তাতেও কাজ না হলে…!!! আরেকটা রাস্তা তো আছেই ।