কুতুবমিনার নিয়ে দিল্লি আদালতে পরবর্তী শুনানি ৯ জুন। পুরাতত্ত্ববিভাগ সেখানে পুজো করার দাবি সমর্থন করে না।মন্দির ভেঙে কুতুবমিনারে মসজিদ হয়নি, দাবি পুরাতত্ত্ব বিভাগের। মঙ্গলবার দিল্লি আদালতে এবিষয়ে শুনানি ছিল। সেখানে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
আদালত জানিয়েছে, আগামী ৯ জুন পরবর্তী শুনানি হবে। ওইদিনই রায় ঘোষণা করতে পারে আদালত। সম্প্রতি দিল্লির আদালতে কুতুবমিনার নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন এক ব্যক্তি। তার দাবি, ২৭টি মন্দির ভেঙে কুতুবমিনার প্রাঙ্গণে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, এর আগে পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক সাবেক আধিকারিক দাবি করেছিলেন, কুতুবমিনার কুতুবুদ্দিনের তৈরি নয়, তার বহু আগে রাজা বিক্রমাদিত্য এই স্তম্ভটি তৈরি করেছিলেন।
মঙ্গলবার আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, যেহেতু সেখানে মন্দির ছিল, তাই ওই চত্বরে পুজো করার অনুমতি দেওয়া হোক। অন্যদিকে, পুরাতত্ত্ব বিভাগ দাবি করে, কুতুবমিনার চত্বরে যে মসজিদ আছে, তা মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছে এমন নিদর্শন নেই।
তাদের আরও দাবি, ১৯১৪ সাল থেকে কুতুবমিনার একটি সংরক্ষিত সৌধ। সেখানে কখনোই কোনো ধর্মের মানুষ প্রার্থনার আয়োজন করেনি। সেই অবস্থান থেকে সরা যাবে না। ফলে সেখানে পুজো করার দাবির বিরোধী তারা। আদালত জানিয়েছে, আগামী ৯ জুন এবিষয়ে তারা নির্দেশ দিতে পারে। অন্যদিকে, এদিনই বারাণসী আদালতের জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক নিয়ে রায় দেওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু আদালত জানিয়েছে, আগামী ২৬ মে পরবর্তী শুনানি হবে। এদিন তারা রায় দেওয়া থেকে বিরত থাকে। আদালত দুই পক্ষের কাছ থেকেই সমীক্ষা রিপোর্টের উপর মতামত জানতে চেয়েছে।