ক্যালিফোর্ণিয়ায় পাওয়া ভ্রূণ নিয়েই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ দেখতে একটি প্রাণীর মতোই৷ কিন্তু ঠিক প্রাণী নয়৷ যেন ভ্রূণ অবস্থায় রয়েছে কোনও কিছু৷ কেননা সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবী উঠেছে, এ আসলে কোনও ভিনগ্রহের প্রাণীর ভ্রূণ৷
যে পোস্টে এই অদ্ভুত ছবিটি দেওয়া হয়েছিল সেখানে জানানো হয়েছিল মৃত অবস্থায় এটিকে পাওয়া যায়৷ পরে যাঁরা ছবিগুলোকে ছড়িয়ে দেন, তাঁদের দাবী, কোনও এলিয়েন নাকি এটি পৃথিবীতে ফেলে গিয়েছে৷ বিভিন্ন পোস্টে পোস্টে আলোচনা চলতে চলচে জানা যায়, এটি পাওয়ার আগে ক্যালিফোর্ণিয়ার আকাশে অদ্ভুত রকমের আলোর খেলাও দেখা যায়৷ সব মিলিয়ে এটি যে ভিনগ্রহের কোনও প্রাণীই ফেলে গিয়েছে, তাই ক্রমশ নিশ্চিত হতে থাকে৷ স্বাভাবিক কৌতূহলবশেই সে পোস্ট ছড়াতে থাকে প্রোফাইল থেকে প্রোফাইলে৷ ক্রমশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিনগ্রহের ভ্রূণ দেখার যেন হিড়িক পড়ে যায়৷
তবে পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন করতে থাকেন সত্যি কি এ কোনও এলিয়েন নাকি, এই পৃথিবীরই কোনও প্রাণী৷ অনেকের মতে, এটি আসলে হরিণের ভ্রুণ৷ তবে যে অবস্থায় ভ্রুণটিকে বাইরে দেখা গিয়েছে তা মাত্র কয়েক মাসের৷ অর্থাৎ ভ্রূণটি তেমন করে তৈরি হতে পারেনি, ফলে চেনা কোনও বিশেষ আকৃতিও পায়নি৷ তার উপর সেটি কোনও মাংসাশী প্রাণীর আক্রমণে পড়ে বীভৎস রূপ নিয়েছে৷ ফলে চেনা কোনও ছবির সঙ্গেই সেটি মেলানো যাচ্ছে না৷ তবে হরিণের ভ্রুণ বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের৷
তবে বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যাকে পাত্তা না দিয়েই সমানে ছড়াতে থাকে গুজব৷ বিশেষত অচেনা আলোর কাহিনি জুড়ে গিয়ে গুজব রীতিমতো মান্য হয়ে ওঠে৷ যদিও সরকারী ভাবে বলা হয়েছে, এটি মিসইল টেস্টের কারণেই আকাশে ওই ধরনের আলো দেখা গিয়েছিল৷ কিন্তু কে শোনে কার কথা! গুজব ছড়ানো দেখে ফেসবুক বাধ্য হয়েই মূল পোস্ট ডিলিট করে দেয়৷ যদিও এখনও বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে এ ভ্রূণের ছবি৷ আর ভিনগ্রহের ভ্রূণ নিয়ে এখনও সরগরম সোশ্যাল মিডিয়ায়৷