৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভাড়াটের দেওয়া খাবার খেয়ে পরিবারের সব অচেতন, পরে ডাকাতি

একই পরিবারের চার সদস্যকে অচেতন করে ঘরের সর্বস্ব লুট করে নিয়েছে ভাড়াটেবেশী দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত ১০টার দিকে ওই পরিবারের সদস্যদের অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আক্রান্তরা এখনো শঙ্কামুক্ত নন।

অসুস্থরা হলেন ওই পরিবারের কর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম (৬৫), স্ত্রী রহিমা হক (৫০), ছেলে আদনান আহমেদ রনি (২৮) ও মেয়ে ফারজানা হক পরমা (১৮)।

ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুর পৌরসভার চরকমলাপুর এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়িতে ঘটনার সুত্রপাতে জানা যায়, গত ৮-১০ দিন আগে অব্যবহৃত বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়। দ্রুততম সময়ে ওই ভাড়াটেরা বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে এবং খাবার নেওয়া-দেওয়া শুরু করে।

একইভাবে শনিবার রাতে ভাড়াটেদের দেওয়া খাবার খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে সবাই। এর পর থেকে আর কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি। রোববার রাত ৯টার দিকে বাড়ির কর্তা মঞ্জুরুল ইসলামের চেতনা ফিরে এলে বাড়ির সদস্যদের এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখেন এবং ঘরের সব তছনছ করা দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীদের জানান। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অসুস্থদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর থেকে ভাড়াটেরা সপরিবারে পলাতক রয়েছে।

অসুস্থদের চিকিৎসা প্রদানকারী চিকিৎসক, মেডিকেল অফিসার ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ফমেকের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ জানান, অসুস্থদের অবস্থা কিছুটা ভালো হলেও আরো কয়েক ঘণ্টা না গেলে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা জানান, খাবারের সঙ্গে মাত্রাতিরিক্ত ওষুধ খাইয়ে অচেতন করা হয়ে থাকতে পারে। 

এ প্রসঙ্গে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদ জানান, অসুস্থদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিছুটা সুস্থ হলে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ