ভারতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৬ বাংলাদেশি। ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে ভারতে পাচার হয়েছিলেন তারা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বের) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া বাংলাদেশিদের বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা নারী-পুরুষ ও শিশুরা ঠাকুরগাঁও, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, দিনাজপুর, ফরিদপুর, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ, টাংগাইল, কুড়িগ্রাম, ঢাকা, খুলনা, মাগুরা, বগুড়া, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও নড়াইল জেলার বাসিন্দা। আইনি সহায়তা দিতে রাইটস যশোর এবং জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে দুটি এনজিও তাদের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে তারা ভারতে গিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়েছিলেন। তাদের বয়স ১২ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে।
জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের প্রলোভনে দেশের বিভিন্ন সীমান্তপথে দালালের মাধ্যমে তারা ভারতে যান। এ সময় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে জেলে পাঠায়। পরে আইনি সহায়তা দিতে ভারতীয় একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়। বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগের পর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফেরার সুযোগ পান। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চান, তাহলে দেওয়া হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম আহমেদ জানান, ২৬ বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশু সাজা শেষে আজ বিকেলে দেশে ফিরেছেন। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার এবং রাইটস যশোর নামে দুটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের সীমান্ত ‘বেনাপোল-পেট্রাপোল’ আইসিপি ক্যাম্পের বিজিবি-বিএসএফ, কাস্টম, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা।