[english_date]

ভাইবার-হোয়াটস আপ চালু

আবার চালু হলো ইন্টারনেটে দ্রুত ম্যাসেজ আদান-প্রদান ও কথা বলার বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যম ভাইবার ও হোয়াটস আপ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভাইবারে ম্যাসেজ আদান-প্রদান করা গেলেও কথা বলা বন্ধ ছিলো। তারপর রাত ১২টার পর থেকে ম্যাসেজ আদান-প্রদানসহ গ্রাহকদের সব সেবা দিতে শুরু করে ভাইবার ও হোয়াটস আপ। কথা বলা, চ্যাট করা, ছবি ও ভিডিওবার্তা পাঠানোর ক্ষেত্রে এসব সফটওয়্যার গ্রাহকরা বেশ পছন্দ করছিলেন ভাইবার ও হোয়াটস আপ। থ্রি-জি, ফোর-জি এবং ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কাজ করে থাকে এসব সফটওয়্যার।
প্রসঙ্গত গত ১৭ জানুয়ারি ভাইবার ও ট্যাঙ্গো এবং ১৯ জানুয়ারি হোয়াটস আপ, মাইপিপল ও লাইন বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। পরে শনিবার রাত থেকেই পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হয় ভাইবার ও ট্যাঙ্গো। প্রথমে মোবাইল অপারেটরগুলোকে ও পরে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) লাইসেন্সধারীদের এ নির্দেশ দেয়া হয়। পরে ১৯ জানুয়ারি বন্ধ করে দেয়া হয় হোয়াটস আপ, মাইপিপল ও লাইন।
এদিকে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভাইবার, হোয়াটস আপের মতো কয়েকটি মেসেজিং এপ্লিকেশন বন্ধ করার সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ব্যবহারকারীরা বলছেন, পূর্বঘোষণা ছাড়া এমন সিদ্ধান্ত সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নীতিবিরুদ্ধ। আপস বন্ধের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, অবরোধের মধ্যে এসব ব্যবহার করে নাশকতার পরিকল্পনা সহজেই ছড়িয়ে দেয়া যায়; ব্যবহারকারীর অবস্থান নির্ণয়ও সম্ভব হয় না। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে এ সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব দেখা যায় অনেককে।
অপরদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার বলেন, আগে থেকে কোন রকম বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে হঠাৎ করে এসব আপস বন্ধ করা উচিৎ হয়নি। সরকারের এ সিদ্ধান্তকে তিনি কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, বলেন, সারা বিশ্বে এ প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেখানে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এটি বন্ধ করে দেয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত। এটা তো মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা। তিনি আরও বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কি আসলেই এগুলো বন্ধ করতে পেরেছে? নাকি কিছু মানুষের জন্য এটি ব্যাবহার কঠিন করেছে। মানুষ কিন্তু ঠিকই এগুলো ব্যাবহার করতে পারছে। এ ধরনের প্রযুক্তি বন্ধ না করে দিয়ে বরং সংশ্লিষ্টদের প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ বৃদ্ধির পরামর্শ দেন তিনি।
পক্ষান্তরে হোয়াটস আপ, ভাইবার, কিক মেসেঞ্জার, কাকাও টক, লাইন, ব্ল্যাকবেরি মেসেঞ্জার- আপের তালিকা যেন শেষ হওয়ার নয়। স্মার্টফোন মানেই এসব মেসেঞ্জার আপনার নিত্যসঙ্গী। আর হবে নাই বা কেন! এই একটা অ্যাপ আপনার ফোনে থাকা মানে এক জাদুকাঠি আপনার হাতের মুঠোয় থাকা। বিনা পয়সায় দেশ-বিদেশে কথা বলাসহ কত কিছুই সম্ভব এইসব অ্যাপের মাধ্যমে। কিন্তু শর্ত একটাই। থাকতে হবে স্মার্টফোন।
ওয়েব ইন্টারফেস, উইন্ডোজ ডেস্কটপ এমনকি উইন্ডোজ ৮ আপ-এও এসব মেসেঞ্জার চলবে না। না, একটু ভুল থেকে গেল। এখন অবশ্য ভাইবার তাদের ডেস্কটপ আপ ভার্সান চালু করেছে। কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে শূণ্য হাতেই ফিরতে হবে আপনাদের। তবে সামান্য বুদ্ধি খাটালে এই সব অ্যাপের অ্যানড্রয়েড সংস্করণ আপনার উইন্ডোস ডেস্কটপেও চালাতে পারেন। আর এই মুশকিল আসান করতে হাজির ব্লুস্ট্যাকস নামের একটি অ্যানড্রয়েড এমুলেটর। সহজ ভাষায় বলতে গেলে এটি এমন একটি সফটওয়্যার যার সাহায্যে বিভিন্ন অ্যানড্রয়েড অ্যাপলিকেশন সহজেই উইন্ডোস-এ ব্যবহার করা যায়।
এবার আসা যাক কীভাবে এ অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়, সেই কথায়। প্রথমেই ব্লুস্ট্যাকস ডাউনলোড করে আপনার উইন্ডোস ডেস্কটপে ইনস্টল করে নিন। ব্লুস্ট্যাকস অ্যাপের প্লেয়ার স্ক্রিনের উপরের বাঁ দিকের কোণে একটি সার্চ আইকন আছে। সেখানে টাইপ করুন আপনার পছন্দের মেসেঞ্জারের নাম। সেই মেসেঞ্জারের আইকনে ক্লিক করলেই ব্লুস্ট্যাকস থেকে আপনাকে বলা হবে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে বা আগে থেকেই গুগল-এ আপনার অ্যাকাউন্ট থাকলে সেই আইডি দিয়ে লগইন করতে।
তারপর ব্লুস্ট্যাকস-এর সঙ্গে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করতে হবে যাতে আপনার কম্পিউটারে সহজেই অ্যাপটি ডাউনলোড করা যায়। এই ধাপটি পেরোতে পারলে আপনার পছন্দের সব অ্যাপ পেয়ে যাবেন ডেস্কটপেও।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ