[english_date]

ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না রূপালী ইলিশ

ভরা মৌসুমের ২ মাস পেরিয়ে গেলেও বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের নদীগুলোতে ধরা পড়ছে না রূপালী ইলিশ।  সাগরে মাছ না থাকায় অলস সময় পার করছেন পটুয়াখালী ও বরগুনার জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

মৌসুমের এ সময় ইলিশ নিয়ে যাদের জীবিকা, তার ওপর ঈদ সামনে হওয়ায় উপকূলের জেলে পরিবারগুলোতে এখন চলছে চরম দুর্দিন।মৎস্য বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈরী আবহাওয়া এবং সাগরে লবণাক্ততা বৃদ্ধিতে প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় বাড়ছে না ইলিশ। জুন থেকে শুরু হয় ইলিশের মওসুম।কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সাগরে মাছ ধরা না পড়ায় জাল বুনে ও কেরাম খেলে অলস সময় পার করছেন পটুয়াখালীর জেলেরা। এ অবস্থায় দাদনের টাকা পরিশোধসহ ঈদকে সামনে হওয়ায় চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন জেলার প্রায় ৫০ হাজার জেলে পরিবার।

জেলেরা আরও জানান, একদিকে খারাপ আবহাওয়া, অন্যদিকে জলদস্যুদের তাণ্ডবে মাছ ধরতে গিয়েও তাদের ফিরে আসতে হয়। তবে, শিগগিরই এ সমস্যা কাটিয়ে উঠবে জানিয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, বরাদ্দ না থাকায় জেলেদের আর্থিক সহায়তা করা যাচ্ছে না। এদিকে মৎস্য বিশ্লেষকরা জানান বৈরী আবহাওয়া এবং সাগরে লবণাক্ততা বৃদ্ধিতে প্রজনন ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ইলিশ বাড়ছে না। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ. সাজ্জাদুল হক বলেন, ‘ইলিশের প্রজননের জন্য লবণাক্ত কম হওয়ার যে উপযুক্ত পরিবেশ তা এখানে পাচ্ছে না।’

একই চিত্র মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটায়। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম এ পাইকারি বাজারে ভোর থেকেই জেলে, পাইকার, আড়ৎদার ও শ্রমিকদের কর্ম ব্যস্ততায় মুখরিত থাকলেও সাগরে মাছ না থাকায় বাজারে বিরাজ করছে এখন থমথমে অবস্থা। কর্মহীন অলস সময় পার করছেন এখানকার জেলে ও মাছ ব্যবসায়ীরা। গত মৌসুমের প্রথম ২ মাসে পাথরঘাটা পাইকারি মাছ বাজারে প্রায় ১ হাজার টন মাছ বিক্রি হলেও চলতি মৌসুমে বিক্রি হয়েছে মাত্র সাড়ে ৩শ’ টন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ