নিজস্ব প্রতিবেদকঃ চট্টগ্রামের মেয়ে ক্ষুদে নৃত্য শিল্পী রিচি বড়ুয়া (বিথী) বড় হয়ে একদিন নিজেকে সেরা নৃত্য শিল্পী হিসাবে গড়ে তুলতে চায় এই ক্ষুদে শিল্পী। এই ছোট্ট ক্ষুদে নৃত্য শিল্পীর স্বপ্নের কথা নিয়ে প্রতিবেদন। সুত্র জানায়, ফটিকছড়ির থানার অর্ন্তগত স্বনামধন্য ফরাঙ্গীরখিল গ্রামের সাংবাদিক বাচ্চু বড়ুয়ার বৌদ্ধ সম্প্রাদয়ের পরিবারে ২৫ শে জানুয়ারী ২০১০ সালে তার জন্ম। মা একজন গৃহিনী,বাবা চট্টগ্রামে সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত। পরিবারের দুই বোনের মাঝে রিচি বড়ুয়া বিথী বড় ছোট বোন ইচ্ছে বড়ুয়া ছোট।
জানা গেছে,নগরীর আগ্রাবাদ মোল্লাপাড়া এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা রিচি বড়ুয়ার পরিবার, দীর্ঘদিন ধরে ঐ এলাকায় তাদের বসবাস। বর্তমানে মুনছুরাবাদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী রিচি বড়ুয়া (বিথী) পড়াশুনা করছে। পরিবার সুত্রে জানা যায়, ছোট বেলা থেকেই রিচির নাচের প্রতি আগ্রহ ছিল বেশী, সবসময় মায়ের কাছে আবদার করতো নাচ শেখার।খাওয়া দাওয়া ছেড়ে প্রায় সময় টেলিভিশনে নাচের অনুষ্টানগুলো মনযোগ সহকারে দেখত। পরিবারের অনেকে নাচের প্রতি বিরক্ত বোধ করত। তবুও সে নাচ শেখার হাল ছাড়েনি। তার নাচের প্রতি আগ্রহ দেখে তিন বৎসর বয়স থেকে নিত্তম একাডেমিতে ভর্তি হয় রিচি এখনো এই একাডেমিতে অধ্যায়নরত রয়েছে।
২০১৩ সালে চ্যানেল আইয়ের সেরা নাচিয়ে ৭ম অধিকারী প্রিয়াংকা বড়ুয়ার হাত ধরে নাচের স্কুল জীবন শুরু করে রিচি।
এব্যাপারে নাচের শিক্ষাগুরু নিত্তম একাডেমির নৃত্যশিল্পী প্রিয়াংকা বড়ুয়া বলেন, রিচি বড়ুয়ার নাচের প্রতি আগ্রহ আছে একবার নাচের কৌশল দেখিয়ে দিলে পরবর্তী আর বলা লাগেনা।নিত্তম একাডেমির শতশত ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে রিচি অন্য রকম। এই একাডেমির ছাত্রীদের নিয়ে শতশত নৃত্যের অনুষ্টান করেছি। উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রামের গুরুর্ত্বপূর্ন বসন্ত উৎসবে ডিসি হিলে নাচের অনুষ্টান,পহৈলা বৈশাখে সি আর বি তে ও হোটেল রেডিসন ব্লু তে ও বেশ কয়েক বার নাচের অনুষ্টানে রিচি অংশগ্রহন করেছে। এবং দশর্কদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে রিচি বড়ুয়া।
আগামীতে আরও বড় ধরনের অনুষ্টানে রিচি বড়ুয়া অংশ গ্রহন করবে বলে আশা রাখি।
এদিকে ক্ষুদে নৃত্যশিল্পী রিচি বলেন, আমি নাচের শিক্ষাগুরু প্রিয়াংকা ম্যাডামের মত একদিন বড় হব । আমার খুব আশা বড় হয়ে একদিন চট্টগ্রামের সেরা নৃত্য শিল্পী হবো এবং চট্টগ্রামের মানুষের সুনাম বয়ে আনবো। যারা টাকার অভাবে নাচ শিখতে পারেনা তাদের জন্য একটা বিনাবেতনে নাচের স্কুল করার স্বপ্ন রয়েছে তার। আরও বলেন,আমার স্বপ্ন কখনো যদি বাস্তব হয় তাহলে এই চট্টগ্রামের কোন মেয়ে নাচের স্কুল থেকে বঞ্চিত হবে না। আমি সবার আর্শীবাদ ও দোয়া কামনা করছি নিজেকে নাচের জগতে প্রতিষ্টিত হিসাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারি।
এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা চস্পা কলি বড়ুয়া বলেন,নাচের প্রতি মনযোগ একটু বেশী, তাই পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে নাচের চর্চা করছে। রাতে ঘুমানের সময় রিচি বলে মা আমি একদিন বড় হয়ে চট্টগ্রামের সেরা নৃত্য শিল্পী হব।সব বাবা মা চায় ছেলে মেয়ে বড় হয়ে কিছু একটা হবে। আমিও চাই আমার মেয়ে বড় হয়ে চট্টগ্রামের সেরা নৃত্য শিল্পী হয়ে সুনাম বয়ে আনুক। তার বাবা বলেন,ছোট বেলা থেকেই নাচের আগ্রহ দেখা যায় রিচির, তার মা নাচের স্কুলে ভর্তি করে,আসলে এতটুকু আসার পিছনে শিক্ষাগুরু প্রিয়াংকা বড়ুয়াও মায়ের অবদান বেশী বলে আমি মনে করি। ছোট্ট রিচির স্বপ্ন বাস্তবে রুপান্তর হউক সর্বদা এই কামনা করি।