আর্থনিউজ২৪: শনিবার সকালে সদর লক্ষ্মীপুর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নে ব্র্যাক স্কুলের এক শিশুছাত্রী (১১) নিজ বসতঘরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে সালিস-মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাতবরদের বিরুদ্ধে।
ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রী ও স্থানীয় লোকজন জানায়, ঘটনার সময় ওই ছাত্রী ও তার ছোট বোনকে ঘরে রেখে নানি তাদের অসুস্থ খালাতো ভাইকে দেখতে যায়। এ সময় একই গ্রামের কুমার বাড়ির তিন সন্তানের জনক দিঘলী ইউনিয়ন আওয়ামী সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের তাদের বসতঘরে ঢোকে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর মুখে ওড়না চেপে ধরে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে ছাত্রীর নানি এসে ঘটনা জানতে পেরে এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল হাই, বর্তমান সদস্য আবদুল মতিন ও আবদুল কাদেরের বড় ভাই নুরুল আমিনসহ মাতব্বরদের জানান। এ সময় তাঁরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে থানায় মামলা না করার পরামর্শ দেন।
এদিকে পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, কাদের নিজেকে ক্ষমতাসীন দলের নেতা দাবি করে এলাকায় সন্ত্রাসী ও বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকাণ্ড করে আসছে। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। কেউ তাঁর অপকর্মের প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
ব্র্যাকের শিক্ষা প্রকল্পের হাজিরপাড়া আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক খোরশেদ আলম জানান, আজ রোববার সকালে তাদের কেন্দ্র শিক্ষিকার মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু ও তার নানির সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এ সময় শিশুটিকে আইনি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে আবদুল কাদের ধর্ষণের ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে জানান, তিনি দীর্ঘদিন থেকে সৈনিক লীগ ও যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত রয়েছেন। সে জন্য স্থানীয় বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা ধর্ষণের ঘটনায় তাঁকে জড়িয়ে অপপ্রচার করছে।
সালিস বৈঠকে মীমাংসার আশ্বাসের বিষয়টি স্বীকার করে কাদেরের বড় ভাই নুরুল আমিন জানান, ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক। ঘটনাটি যাই ঘটেছে, ইউপি সদস্যসহ গণ্যমান্যরা বসে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, খোঁজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।