মোঃ নিজাম উদ্দিন, রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ মুষ্টিমেয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে পরিষদ ঘেরাও এর যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে করে তাদের শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করেন পাজেপ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থে তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে করে তারা সরকারের বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। রোববার বেলা সাড়ে ১০টায় জেলা পরিষদের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র বিরোধী সংগঠন ইউপিডিএফ এর সাথে আতাঁত করে আওয়ামীলীগ দাবি করা মেয়র রফিকুল আলম সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যে ইউপিডিএফ ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে পন্ড করতে কর্মসূচি দিয়েছিল সে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের সাথে মেয়র রফিকুল আলমের মিলে যাওয়ায় প্রমাণ করে সে কোন ঘরনার আওয়ামীলীগ।
রফিকুল আলমদের কর্মসূচি অযৌক্তিক দাবি করে চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য জেলা পরিষদ সমূহ পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলে এবং পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ সমূহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ। তাদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করার যে অন্যায় দাবি তারা উত্থাপিত করেছে তা জেলা পরিষদ আইন পরিপন্থী। জেলা পরিষদ সরকারি আইন মেনেই শিক্ষক নিয়োগ সহ সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তাই তাদের অন্যায় অবদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের হস্থক্ষেপ নেয়াকে স্বাগত জানান তিনি।
জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুরুজ্জামান জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ অনুসরণ করে উপজেলা ভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ করেছে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ। প্রতি পদের বিপরীতে ৪ জনকে প্রার্থী রাখা হলেও কোন কোন উপজেলায় লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ না থাকায় তার সংখ্যা কম হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরী, খগেশ্বর ত্রিপুরা, সতীশ চাকমা, শতরূপা চাকমা, নিগার সুলতানা, আব্দুল জাব্বার প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
