
থাইল্যান্ডের পুলিশ প্রধান জোর দিয়ে বলেছেন, ব্যাংককের বোমা হামলারা তদন্তে তাঁরা অনেকটাই এগিয়েছে৷ তাঁর দাবি হামলাকারী শীঘ্রই ধরা পড়বে৷ যদি বিস্ফোরণের পিছনে কারা রয়েছে? সেই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় থাইল্যান্ড পুলিস৷
গত সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজধানী ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে ইরাওয়ান মন্দিরের সামনে রাচাপ্রাচাং সড়কে বোমা বিস্ফোরণে ২০ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগই বিদেশি পর্যটক।
গতকাল শুক্রবার ঘটনাস্থলে নিহত লোকজনের উদ্দেশে স্মরণ ও প্রার্থনা অনুষ্ঠানের পর থাই পুলিশ-প্রধান জেনারেল সোমিয়াত পুমপানমং সাংবাদিকদের বলেন, রাজধানীতে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই ওই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন এবং পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই ওই হামলা চালানো হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই হামলার বিষয়ে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। তবে আমি সব প্রকাশ করতে পারি না।’
ঘটনার পরের দিন মঙ্গলবার থাই কর্তৃপক্ষ মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা সিসিটিভির ফুটেজ প্রকাশ করে। সেখানে হলুদ টি-শার্ট পরা এক তরুণকে তাঁর সঙ্গে আনা ব্যাগ রেখে মন্দির ছেড়ে চলে যেতে দেখা যায়। ওই তরুণ মন্দির ত্যাগ করার পরই বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিনই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরোয়ানায় তাঁকে ‘বিদেশি’ বলে উল্লেখ করা হয়। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে ধরতে ইন্টারপোলের কাছেও সহায়তা চাওয়া হয়। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে থাই পুলিশ-প্রধান বলেন, হামলাকারী ব্যক্তি একটি বিশাল নেটওয়ার্কের সদস্য। কিন্তু পরের দিন বৃহস্পতিবার সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, সোমবারের হামলায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক জড়িত নয়।
সিসিটিভির ফুটেজে প্রকাশিত হলুদ টি-শার্ট পরা ওই তরুণের সঙ্গে সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া বিদেশিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে থাইল্যান্ডের পুলিশ।