[english_date]

বিয়ে করার আগে যে সব শারিরিক পরিক্ষাগুলি করে নেওয়া আবশ্যক

আসলেই কোন বয়সে বিয়ে করা উচিত? জীবনের কোন পর্যায়ে থাকলে বিয়ে করার সময়টাকে সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হয়? শুধু বয়স নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আরও কিছু ব্যাপার। যিনি বিয়ে করছেন, সেই ছেলে বা মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত কি না জনাতে নিচের পরিক্ষাগুলী করা অতিব জরুরী

এইচ আই ভি অন্যান্য যৌন রোগ: এইচ আই ভি, হেপাটাইটিস বি ও সি জাতীয় রোগ সারা জীবন ভোগায় এবং সঠিক সময় চিকিত্সা না করালে তা বিবাহিত জীবনে বড় সমস্যা নিয়ে আসতে পারে।  তেমনই গনোরিয়া, সিফিলিস, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের মতো যৌন রোগ আগে থেকে জানা থাকলে সংক্রমণ রোখার উপযুক্ত সাবধানতা নেওয়া যায়।

ব্লাড গ্রুপ কমপ্যাটিবিলিটি টেস্ট: বিয়ের আগে অবশ্যই দুজনের ব্লাড গ্রুপ ও কমপ্যাটিবিলিটি পরীক্ষা করিয়ে নিন।  না হলে গর্ভাবস্থায় রিসাস ডিজিজের মতো সমস্যার মুখে পড়তে পারেন।  এই অবস্থায় মায়ের শরীরের অ্যান্টিবডি শিশুর শরীরের রক্ত কোষ নষ্ট করে দেয়।  রিসাস নেগেটিভ ব্লাড গ্রুপের কোনও মহিলা যদি রিসাস পজিটিভ কোনও পুরুষকে বিয়ে করেন তা হলে রিসাস ইনকমপ্যাটিবিলিটির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে।  ভ্রুণের যদি রিসাস পজিটিভ ব্লাড গ্রুপ হয় তা হলে গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যু, গর্ভপাতের মতো সমস্যা হতে পারে।

ফার্টিলিটি: এই পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।  স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ইনফার্টিলিটির সমস্যা বড়া আকার ধারণ করেছে।  এই শারীরিক সমস্যা বিবাহিত জীবনে মানসিক, সামাজিক সমস্যা ডেকে আনে।  শূন্যতা অনুভূত হয়।  তাই আগে থেকে দু’জনেই ফার্টিলিটি পরীক্ষা করিয়ে নিন।

জেনেটিক বা ক্রনিক মেডিক্যাল কন্ডিশনিং পরীক্ষা: আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিলে সমস্যা বাড়ার আগে জেনেটিক রোগের নির্ণয় সহজ হয়।  ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থ্যালাসেমিয়া, কিছু ক্যানসার ও কিডনির সমস্যা লুকিয়ে থাকে জিনে।  যা আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ