বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা নেই, তবে বিপিএল চলছে পুরোদমে। ঢাকা পর্বের পর চট্টগ্রাম পর্বের জন্য অপেক্ষা দেশবাসীর। অংশগ্রহণকারী দলগুলো এরইমধ্যে চট্টগ্রাম পাড়ি দিতেও শুরু করেছে। এরইমধ্যে তড়িঘড়ি করে মিটিংয়ে বসলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্তারা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, পরিচালক জালাল ইউনুস, খালেদ মাহমুদ সুজন, ইসমাইল হায়দার মল্লিকসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে মিলিত হয়েছেন। কী নিয়ে মিটিং হবে তাদের মধ্যে?
বিপিএল ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রীতিমতো উত্তপ্ত। কদিন আগে বিপিএলের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রশ্ন তোলার কথা বললে পুরোটা বিষয় ঠিক বোঝা যায় না। বিসিবি কর্তাদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছিলেন সাকিব। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টটিতে ডিআরএস নেই। আম্পায়ারিং নিয়েও আছে বিস্তর বিতর্ক। সাকিব বলেছিলেন, সিইও হলে সব কিছু ঠিক করতে মাত্র দুমাস সময় লাগবে তার। পরের গল্পটা তো অনেকেরই জানা।
বিসিবি সাকিবকে আগামী মৌসুম থেকে সিইওর দায়িত্ব পালন করার অফার দিয়েছে। রসিকতার ছলে সাকিব আবার বলেছেন, হলে সংগঠনটির সভাপতিই হতে চান। এরপর পাপনও এ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন। এসব বিষয় নিয়েই কি মিটিংয়ে বসেছেন তারা? হলেও হতে পারে।
তবে কেউ কেউ বলছেন, বিসিবি কর্তারা মিটিংয়ে বসেছেন জাতীয় দলের কোচ ইস্যুকে সামনে রেখে। বোর্ড কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে আবার চায়। সে বিষয়ে আলোচনাও চলছে।
এর আগেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন এই লঙ্কান। ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টাইগারদের ডেরায় ছিলেন তিনি। তবে কড়া শাসনে হাঁপিয়ে ওঠা ক্রিকেটারদের অনেকের চাওয়াতেই নাকি সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন হাথুরু। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচকে আবারও নিয়ে আসতে আগ্রহী বোর্ডের বড় একটা অংশ।
























