[english_date]

সম্পর্কে থেকেও নিজের সত্তাকে বিসর্জন নয়, জেনে নিন উপায়

প্রেম এক জিনিস। কাউকে ভালোবাসা এক জিনিস। কিন্তু সেই ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে সম্পর্ক শুরু করা একেবারে অন্য জিনিস। সম্পর্কে স্বার্থ আসবে না, এটা হয় না। তবুও ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায় কারোর কারোও ক্ষেত্রে। কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ভালোবাসতে পারেন নিঃস্বার্থভাবে। সঙ্গীর হাজারো স্বভাব অপছন্দ হলেও, তার প্রতি প্রেম মরে না। তবে সেই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা খুব কম। স্বার্থে ঘা লাগলে মানুষ পালটে যায় রাতারাতি। তার প্রেমও আর আগের মতো থাকে না। বহুদিনের চেনা সঙ্গীকে এক লহমায় মাঝপথে ছেড়ে দিতে প্রাণ কাঁদে না তার। ফলে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গের সম্পর্ক শুরু হলে দায়বদ্ধতা এসেই যায়। তবুও কোথাও একটা দাঁড়ি টানা প্রয়োজন। সমঝোতা থাকবে, কিন্তু তা নিজের সত্তাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। সঙ্গীকে সুখী করার পাশাপাশি নিজেকেও খুশি রাখার ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে নিজেকেই। তবেই জীবনটা উপভোগ্য হয়ে উঠবে।

সম্পর্কে স্পেস কিন্তু খুব জরুরি – সঙ্গীকে সময় দেওয়ার বাইরে নিজেকেও প্যাম্পার করুন। এতে সঙ্গীর সঙ্গে ঝামেলা কম হবে। শেয়ারিং ভালো, কিন্তু নিজের সব কথা শেয়ার করতে যাবেন না। একান্ত ভালো লাগা, মন্দ লাগাগুলো নিজের কাছে রেখে দিন। পারলে শান্তভাবে আলোচনা করতে পারেন। কারোর কাছে জবাবদিহি করবেন না। কেননা, কারোর কাছে জবাবদিহি করতে আপনি বাধ্য নন। তা ছাড়া, নিজের সবটা খোলা পাতার মতো মেলে ধরলে আপনার প্রতি সঙ্গীর আগ্রহও হারাতে পারে। তাই নিজের স্পেস উপভোগ করুন। জীবনে রহস্য বজায় রাখুন।

নিজেই নিজের সিদ্ধান্ত নিন – সম্পর্কে থাকাকালীন আমরা জীবনসঙ্গীর উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। তখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও হারিয়ে যায়। জীবনে এমন সময় আসতে পারে, যখন নিজেকেই ঠিক করতে হবে কোনটা করণীয়, কোনটা নয়। সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করতে নিজেকে তৈরি রাখুন।

আত্মমর্যাদা – সম্পর্কের খাতিরে অহংকার দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা রক্ষার তাগিদেই হয়তো তা করতে হবে। এর মানে আত্মমর্যাদা বিসর্জন দেওয়া নয়। ঘ্যানর ঘ্যানর করা সঙ্গীর পাল্লায় পড়লে, নাজেহাল হতে হবে আপনাকেই। আত্মবিশ্বাসও হারিয়ে যাবে। ফলে নিজের আত্মসম্মান যাতে ক্ষুণ্ণ না হয়, নিশ্চিত করুন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ