বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রসমূহকে বিএনপি আশ্বস্থ করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ। বাংলাদেশের সকল ধর্মের মানুষ ধার্মিক কিন্তু তারা ধর্মান্ধ নন। তারা কোনমতেই কোন উগ্রপন্থাকে প্রশ্রয় দেন না বরং ঘৃনা করেন। এমনি পরধর্মসহিঞ্চু একটি রাষ্ট্রে বিদেশীসহ সকল মানুষ নিরাপদবোধ করবেন-এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি বিদেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে যখন ভ্রমণ সতর্কতা জারী করেছে এবং অধিক নিরাপত্তার প্রশ্নে যখন দেশের পর্যটন মেলা স্থগিত হয়ে গেছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত বিদেশীরা কর্মস্থল ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছেন ও বাংলাদেশে বিদেশীরা এখানে তাদের নাগরিকদের চলাচলের প্রশ্নে অধিক সতর্কতা দিচ্ছেন-তখন সমগ্র বিষয়টি জাতি হিসেবে আমাদের ভাবিয়ে তোলে, উদ্বিগ্নও করে। আরো বেশি উদ্বিগ্ন করে এর প্রতিক্রিয়ায়-বাংলাদেশের মানুষের ধর্মসহনশীলতার চিরায়ত ঐতিহ্য প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পথে।
রিপন বলেন, সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছেন-এদেশে ‘আইএস’ এর কোন অস্তিত্ব নেই। বিষয়টি যখন আরো তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে এবং বিদেশীদের পাশাপাশি দেশের জনগণকেও যখন সরকারের তরফ থেকে আশ্বস্ত করার কথা-তখন সরকারের নানা পর্যায় থেকে সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বিরোধী দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং বিরোধী দলের উপর নতুন করে নির্যাতনের পন্থা হিসেবে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলসমূহের প্রতি দুরভিসন্ধিমূলক অভিযোগ আনছেন, অনেককে ইতিমধ্যে গ্রেফতারও করেছেন। তিনি এর তীব্র নিন্দা করে সরকারের অভিযোগ প্রত্যাখান করেন।
ড. রিপন বলেন, দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদের কোন তৎপরতা নেই-তারপরেও যখন এধরনের দাবী উঠেছে-তখন তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং উদ্ভুত সকল চ্যালেঞ্জ ঐক্যবদ্ধভাবেই মোকাবেলা করতে হবে। আমরা মনে করি জাতীয় স্বার্থে যাবতীয় জাতীয় সংকটে সকল ভেদাভেদ ভুলে একযোগে দেশের স্বার্থে কাজ করা জরুরী। এটা আমাদের রাজনীতির ইতিবাচকতার আবারো প্রমান।
বিএনপির এই নেতা দু:খ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের তথ্যমন্ত্রী আমাদের এই আহবানকে অসম্মান করেছেন। আমরা জানি বর্তমান তথ্যমন্ত্রী ১৯৭২-১৯৭৫ সময়ে এদেশের রাজনীতিতে উগ্রপন্থার জনক। এই পরজীবি রাজনীতিক এদেশে সহিংস রাজনীতির পথপ্রদর্শকও বটে।
রিপন বলেন, বিনা ভোটের সরকারকে খুশী করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী যেসব গণমাধ্যম সরকারের ভূলত্রুটি ধরিয়ে দেয়-তাদের প্রতি নাখোশ হন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা লক্ষ্য করেছি-বেশ কয়েকটি পত্রিকা, চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেছে।
‘আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ সহ সকল আটক সাংবাদিকের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করেন তিনি।
একইসাথে ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম নয়নকে গ্রেফতারের সময়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে পা’য়ে গুলি করার প্রতিবাদ জানান আসাদুজ্জামান রিপন।