বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, বিদেশি হত্যায় বিএনপি নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। অথচ তদন্তের আগেই প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে মনে হচ্ছে দেশে আইন ও বিচারের কোনো প্রয়োজন নেই। যাকে খুশি তাকে ধরে শাস্তি দিলেই হয়। এর ফলে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের পার পেয়ে যাওয়ার অবকাশ রয়েছে। আমরা চাই এ প্রক্রিয়া বন্ধ হোক। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমরা জানতে চাই, এ দেশে আপনারা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে দেবেন কি না। নাকি আইন করে বিরোধী দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন? এর একটা সুরাহা হওয়া জরুরি।
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির অপর সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, শেখ হাসিনার আগের আওয়ামী লীগ সরকার অনেক ভাল ছিল। তারা অন্তত একটি ক্ষেত্রে সত্ ছিল। তারা আইন করে দেশে সব বিরোধী দলের রাজনীতি বন্ধ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে বিনাভোট ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতা দখল করা হাসিনা সরকার কৌশলে বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধা সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাজনীতি করার সুযোগ চাই। কৌশলে ক্ষমতা দখল করে থাকার সরকারি প্রচেষ্টা জনগণ মানবে না।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা অভিযোগ করেন, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। তিনি যাতে বিদেশে চিকিত্সার জন্য যেতে না পারেন, সে জন্য মামলাবাজ সরকার কাল্পনিক গল্প তৈরি করে তাকে এবং যশোর বিএনপির ৩৪ জনের নামে মামলা দিয়েছে। এ মামলায় ইতিমধ্যে যশোর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল হক সাবুসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্দেশ্য হচ্ছে বিএনপি নেতাদের চিকিত্সার অভাবে অকাল মৃত্যুর মুখে ঠেলা দেয়া। এছাড়া দল পুনর্গঠন ও সুসংহত প্রক্রিয়ায় বাধা দিতেই নেতাদের গ্রেফতার ও নতুন করে মামলা দেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে দলের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এমকে আনোয়ার, রিজভী আহমেদ, রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক আলী বুলবুল, গাজীপুরের মেয়র মান্নান, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জের মেয়র জিকে গউসসহ সব নেতার মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।