
অন্যান্য সময়ের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে ঢাকায় বিদেশি নাগরিকের আসা যাওয়ার সংখ্যা। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে এমন তথ্য। এমনকি বাংলাদেশে পা রেখেই অধিকাংশ বিদেশি নাগরিক বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত নন তারা। তবে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, পুরো দেশে অবস্থানরত ২ লাখেরও বেশি বিদেশি নাগরিকের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশ নিরাপত্তা সতর্কতা জারির পর পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছিলো কূটনীতিকদের। তবে, তাতে দূতাবাসগুলো তাদের নাগরিকদের সতর্ক অবস্থায় চলাফেরার নোটিশ শিথিল করেনি। উল্টো গত শুক্রবার দ্বিতীয়বারের মতো সতর্কতা নোটিশ জারি করে যুক্তরাজ্য।
এ অবস্থার মধ্যে যুক্তরাজ্যের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলের আগে ঢাকা ঘুরে গেলেন জার্মান সরকারের মন্ত্রী গার্ড মুলার।
একই চিত্র ঢাকা বিমানবন্দরেরও। প্রতিদিন প্রায় ২২ হাজার যাত্রী আসা যাওয়া করে এখানে, গড়ে বিদেশি আসেন দেড় হাজার। ইমিগ্রেশন সূত্রে এক মাসের তথ্য বলছে, ২০১৪ সালের এই সময়টায় যেখানে প্রায় ৪৫ হাজার বিদেশি নাগরিক এসেছিলেন, সেখানে এই বছরে এসেছেন সামান্য কম, প্রায় ৪২ হাজার। ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা নিহত হওয়ার পরবর্তী ১৪ দিনে ঢাকায় এসেছেন ২৪ হাজার ৯৩৩ জন বিদেশি।
ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে আগত বিদেশীদের অবশ্য রয়েছে কিছুটা ভিন্নমত।
বিমান থেকে যারা ঢাকায় নামছেন তাদের অধিকাংশই আতঙ্কহীন হলেও কারও কারও মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। আর তাই সরকার বলছে শুধুমাত্র কূটনৈতিক এলাকা কিংবা রাজধানী ঢাকা নয় পুরো দেশেই বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক রয়েছে তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘এই মুহূর্তে দুই লক্ষ চৌদ্দ হাজার সাতশ বিদেশি আমাদের বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও আছে। যেখানে বিদেশিরা রয়েছে তাদের প্রতি নজর রাখতে পুলিশ সুপার পর্যায়েও জানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর ঢাকা শহরে বিশেষভাবে দেখা হচ্ছে। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছি যাতে বিদেশিরা নিরাপদে থাকে।’
দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর সরকারের নেয়া পদক্ষেপগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে নতুন কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায়। তাই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে সরকার বিদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বলে দাবি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।