
বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রতি
বিদেশ গমনে সুপ্রিম কোর্টের রুল জারি
সুপ্রিম কোর্টের কোন প্রকার পরামর্শ ছাড়া বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর না করতে নির্দেশনা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্টে। গত রবিবার হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।কর্মকর্তাদের বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে ‘বিচার বিভাগীয় সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা প্রসঙ্গে’ শিরোনামে প্রজ্ঞাপনটি গতকাল সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্টকে না জানিয়ে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করছেন। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসার পর এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার কর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলা বিধান মহামান্য রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত এবং সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে তা প্রযুক্ত হয়ে আসছে। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয় যেমন কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বিধান, বিদেশ গমন ও চাকুরির অন্যান্য শর্তাবলি ইত্যাদি বিষয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
আরো বলা হয়, ‘উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণকে সুপ্রিম কোর্ট, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় সংসদ সচিবালয়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের অফিসে প্রেষণ বা অন্যবিধভাবে নিয়োগ করা হলেও তাঁরা বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাই থাকেন। কেবলমাত্র উক্ত নিয়োগকালীন সাময়িকভাবে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা হতে বিরত থাকেন বিধায় সংবিধানের ১০৯, ১১৬ ও ১১৬(ক) অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিধান সাপেক্ষ তাঁদের উপর অত্র কোর্টের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা পূর্বাপর অব্যাহত থাকে। এ রূপে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের চাকুরির শর্তাবলি, বিদেশ গমন ইত্যাদি বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের সাথে আবশ্যিকভাবে পরামর্শের বাধ্যবাধকতা থাকায় এর যেকোনো রূপ ব্যত্যয় আইন, বিধি-বিধান ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং অসদাচরণের শামিল।’