যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের পুনঃশুনানি দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের বক্তব্য ঘিরে আলোচনার মধ্যেই বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ বলেছেন, বিচারাধীন বিষয়ে কোনো কথা বলা ঠিক নয়।
সোমবার ৭ই মার্চ উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের যেসব বিচার হয়েছে, তা সফলতার সাথে হয়েছে, সুন্দরভাবে হয়েছে, আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে।
“এটা আদালতের বিষয়। আমরা মনে করি, এ নিয়ে করো কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না।”
গত শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলা নিয়ে কথা বলেন সরকারের দুইজন মন্ত্রী।
খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে আপিলের পুনঃশুনানির দাবি জানান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন তার বক্তব্যে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রোববার সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধান বিচারপতি একটি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রধান, সুতরাং তাকে বিতর্কিত করা মানে বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা। এ সমস্ত উক্তি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে মন্ত্রীদের ওই বক্তব্যকে ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ’ আখ্যায়িত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বিচারাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুলকে ইংগিত করে বলেন, “আমিতো আর ছাপোষা উকিল ছিলাম না।… আমি বারে থাকতেও বিচারাধীন বিষয়ে মুখ খুলতাম না।”
সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর তোফায়েল সাংবাদিকদের বলেন, জাতির জনকের ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র বাঙালিতে পরিণত করেছিল।
“মূলত ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু অনানুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান।”