কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বাসে হামলা করে ছাত্রীদের নির্যাতন ও রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা এবং প্রশাসনের নির্বাক ভূমিকার প্রতিবাদ করে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল নয়টায় ক্যাম্পাসের কাঁঠাল তলায় জড়ো হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। তারা ক্যাম্পাসে টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ছাত্রী নির্যাতনকারী ও সন্ত্রাসী হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, শহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সন্ত্রাসী হামলা ও ছাত্রীদের নির্যাতন করা হয়েছে। প্রশাসন এর বিরুদ্ধে এখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ঐ হামলায় আক্তারুজ্জামান নামে এক শিক্ষার্থীর তিনটি রগ কেটে যায়। এছাড়াও ২৫ জন আহত হন।
রবিবার বিকাল পাঁচটায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইন অভিমুখে শিক্ষার্থী বহনকারী একটি বাস যাচ্ছিল। নগরীর ঝাউতলায় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বিশাল গাড়ি বহরের একটি র্যালি যাচ্ছিল। এ সময় র্যালি থেকে কিছু ছেলে বাসে অবস্থানরত ছাত্রীদের লক্ষ্য করে রঙ ছুড়লে ছাত্ররা প্রতিবাদ করেন। পরপরই র্যালি থেকে অর্ধশতাধিক লোক এসে লাঠি, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। তারা ছাত্র-ছাত্রীদের বেদড়ক মারধর করে। ধারালো অস্ত্রের কোপে লোকপ্রশান বিভাগের ৭ম ব্যাচের শিক্ষার্থী আক্তারুজ্জামানের ডান হতের কজ্বির তিনটি রগ কেটে যায়। তিনি এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে ভর্তি রয়েছেন।