[english_date]

বান্দরবান লামা বন বিভাগের সামাজিক বনায়নের ৬০ উপকারভোগী পেলেন ২৭ লাখ টাকা

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব সংবাদদাতা, লামা (বান্দরবান) : সামাজিক বনায়নের আওতায় লামা বন বিভাগের আলীকদম উপজেলার ৬০ জন উপকারভোগীর মধ্যে ২৭ লাখ ২১ হাজার ৮০৮ টাকার লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়। রোববার (১৭ মে) সকালে আলীকদম উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সুবিধাভোগীদের মধ্যে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম। আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদ ইকবাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. কফিল উদ্দিন, মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার শামসুল হুদা সহ প্রমূখ।

লামা বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, ২০০৩-০৪ইং আর্থিক সনের মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সামাজিক বনায়নের আওতায় সৃজিত ব্লকউড বাগান আবর্তকালপূর্ণ হওয়ায় নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। ২০১৮-১৯ সনে বিএফআইডিসির গড় নিলাম হতে ৪৫% লভ্যাংশের টাকা সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমের আওতায় ৬০ উপকারভোগীর মধ্যে ২৭ লাখ ২১ হাজার ৮০৮ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চার চেক বিতরণ কালে বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম দেশের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বিশ্বব্যাপী প্রকৃতি ও পরিবেশ-প্রতিবেশ স্বাভাবিক রেখে এ ধরণীকে প্রাণিকুলের বাসযোগ্য রাখতে প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধন করতে হবে। বৃক্ষ অমূল্য সম্পদ। জীবন, জীবিকা ও পরিবেশের জন্য বৃক্ষ অপরিহার্য। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৃক্ষ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখছে। পৃথিবীর প্রাণিকুল উদ্ভিদরাজির ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।

একইদিন দুপুরে আলীকদম মাতামুহুরী রেঞ্জ অফিসে সামাজিক বনায়নের কয়েকজন উপকারভোগীদের মাঝে চেক বিতরণ করেন, লামা-আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম পিএসসি। চেক প্রদান কালে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অধিক জনসংখ্যা ও দারিদ্র্য বনাঞ্চল সংরক্ষণের প্রধান অন্তরায়। এ প্রেক্ষাপটে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বৃক্ষসম্পদ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যায় আরও সচেষ্ট হওয়ার জন্য তিনি বন বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৩-০৪ হতে ২০১৮-১৯ইং আর্থিক সনে পর্যন্ত লামা বন বিভাগের আওতায় লামা, মাতামুহুরী, তৈন, ডলুছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি ও সাঙ্গু রেঞ্জে ১৬৮২.৮৮ হেক্টর পাহাড়ি ভূমি সামাজিক বনায়ন সৃজন করা হয়। যাতে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা ২৪৫৬ জন

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ