
অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য স্বল্পমেয়াদী ওয়ার্ক-পারমিট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে বিজেপি সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক-অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগ, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এক গবেষণাপত্রে এই প্রস্তাব দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা মশিউর রহমানের মতে, ট্রানজিটের দ্বার খুলে গেলে কমে আসবে দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি। আর সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছেন, এক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে দেশের স্বার্থকে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের দুদিন আগে ৯০ পাতার এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে-অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
যাতে দুদেশের সীমান্ত সমস্যা, যোগাযোগ ও বাণিজ্যঘাটতির মতো সমস্যা সমাধানে তুলে ধরা হয়েছে বেশ কিছু সুপারিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনুপ্রবেশ বন্ধে দুদেশের সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য চালু করা যেতে পারে স্বল্পমেয়াদী ওয়ার্ক-পারমিট। যা হবে অনেকটা ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মতো। এতে অনুপ্রবেশ কমার সাথে সাথে কমবে সীমান্ত হত্যাও। সীমান্ত হাট বসিয়ে বাংলাদেশে গরু রপ্তানির প্রস্তাবও রয়েছে এতে।
দুদেশের যোগাযোগ সম্পর্কিত এই প্রতিবেদনে, সীমান্তের দুপাশের ৩০ কিলোমিটার এলাকায় বিশেষ সীমান্ত অঞ্চল গড়ে তোলারও প্রস্তাব রয়েছে। যেখানে কাজ করতে পারবে দুদেশেরই প্রশাসনিক ব্যবস্থা। সংস্থাটির বিশ্বাস, পরস্পরের প্রতি আস্থা আর সহযোগিতার মনোভাব থাকলে এতে কোনো দেশকেই সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিতে হবে না। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় আর্থ-সামাজিক অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। দুদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতেও বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছে সংস্থাটি।
যেখানে ভারতের জন্য পৃথক একটি রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল বা ইপিজেড বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। যার অবাকাঠামো তৈরিতে, বিনিয়োগ করবে ভারত। কৃষি, বস্ত্র, জৈব রসায়ন, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, ওষুধ, হেলথ কেয়ার ইকুপমেন্ট ও অটোমোবাইলস শিল্প যা কিনা উভয় দেশের চাহিদা মেটাতে পারবে। তাছাড়াও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস, মুনাফা নিজ দেশে ফিরিয়ে মত থাকলে, দুদেশের পাশাপাশি সার্কের বাকী দেশগুলো তার ফল ভোগ করতে পারে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা বললেন, মোদীর সফরে তাই ট্রানজিটকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রীর পরামর্শ ভারতের বিশাল বাজারকে যেকোন মূল্যে আর্কষণ করার পাশাপাশি দেশের অগ্রগতিকেও মাথায় রাখতে হবে। গবেষণা পত্রে আগামীতে দুদেশের মাঝের সকল সর্ম্পককে উন্নয়নের একটি বৃহৎ চিত্র তুলে ধরেছে গবেষকেরা।