রাজধানীর খুচরা বাজারে বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২-৪ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশির ভাগ শাকসবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য পণ্যের দাম অনেকটা স্থিতিশীল।
বিক্রেতারা বলছেন, কোরবানি ঈদের পর থেকে পাইকারি বাজারে চালের দাম চড়া। খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
খুচরা বাজারে শুক্রবার প্রতি কেজি মোটা গুটি স্বর্ণা চাল ৩০-৩২ টাকা, বিআর আটাশ ৪০, বিআর উনত্রিশ ৩৫-৩৬ এবং মিনিকেট ৪৪-৪৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এক চাল ব্যবসায়ী জানান, চলতি মাসের শুরুতে বেশির ভাগ চালের দাম বস্তাপ্রতি ১৫০-২০০ টাকা বেড়েছে। ধানের মৌসুম শেষ পর্যায়ে আসায় এবং সরকার পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করায় খরচ বেড়ে গেছে। আর সে কারণেই দাম বেড়েছে।
এদিকে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছুটির দিনে ক্রেতাদের উপস্থিতি বেশি থাকায় বেচাকেনা কিছুটা বাড়লেও সরবরাহের তুলনায় অনেক পণ্যের চাহিদা কম। গত সপ্তাহের তুলনায় শাকসবজির দাম কেজিপ্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে। শীতের নতুন সবজি বাজারে না আসায় এসবের দাম বাড়তি বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা।
বাজারে প্রতি কেজি শসা ৫০, টমেটো ১১০-১২০, পটোল ৬০, কাঁচা পেঁপে ৩০-৩৫, করলা ৭০-৮০, বরবটি ৬০-৭০, বেগুন ৯০-৯৫, কাঁচামরিচ ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিটি লাউ ৫০-৫৫, বাঁধাকপি ৩০, ফুলকপি ২৫-৩০, প্রতি আঁটি লাউশাক ৩৫-৪০, পুঁইশাক ৩০, পালংশাক ৩০, লালশাক ১০-১৫ টাকা এবং কাঁচকলার হালি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছবাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি বড় দেশি রুই ও কাতল ৪০০-৪৫০, আমদানিকৃত রুই-কাতল ২৮০-৩৫০, পোয়া ৫০০-৬০০, পাঙ্গাশ ১২০-১৬০, সিলভার কার্প ১৩০-১৮০, বাটা মাছ ২০০-২৬০, মাঝারি তেলাপিয়া ১৬০-১৮০, চাষের কৈ ২৫০-৩০০, ছোট চিংড়ি ৫০০-৬০০, মাঝারি চিংড়ি ৮০০-১০০০, শিং মাছ ৫০০-৬৫০, দেশী মাগুর ৭০০-৮০০ টাকা এবং প্রতি জোড়া মাঝারি ইলিশ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২৫-১৩০ এবং লেয়ার ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিম হালি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০-৭৫, ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া প্রতি কেজি দেশি আদা ১৪০, ভারতীয় ১২০-১৩০ ও চীনা আদা ১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি রসুন ৮০-৮৫ ও চীনা রসুন ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।