নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়িতে পা রাখার পরই সব বাবা-মায়েদেরই চিন্তা শুরু হয় তাঁদের ছোট্ট সোনার ঘর কিভাবে সাজানো হবে তা নিয়ে ৷ ঘরের রং থেকে ফার্নিচার সব কিছু নিয়েই এক্সপেরিমেন্ট তখন তুঙ্গে ৷ এর ওপর আবার মাথায় রাখতে বাচ্চাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছা ৷ এই সব ভেবে আর হিমশিম খাওয়ার দরকার নেই ৷ আপনার সন্তানের ঘর সাজানোর টিপস দিলেন ইন্টিরিয়র ডিজাইনার শ্রেয়জিৎ মুখোপাধ্যায়৷
ওয়াল কালার
বাচ্চাদের রুম ডেকরের সময় সব থেকে Important যেটা, সেটা হল ঘরের রং ৷ ওয়াল কালার হিসেবে পিঙ্ক, ইয়েলো, ব্লু, গ্রিন, ল্যাভেন্ডার বাছতে পারেন ৷ রুমে ক্রিয়েটিভ টাচ্ দিতে যেকোনো একটা ওয়ালে আপনার বাচ্চার হাতে আঁকা কোনো ছবি ওয়াল পেপার হিসেবে লাগাতে পারেন এছাড়াও, একটা দেওয়ালে আপনার ছোট্ট সোনার হাতের ছাপও লাগাতে পারেন ৷ আপনার সন্তানকে বলুন ছোটখাটো, শো-পিস, কার্ড, ফুল বা অন্য কিছু তৈরী করতে ৷ যেগুলো দিয়েও ঘর সাজাতে পারেন ৷ এতে ওর হাতের কাজের অ্যাপ্রিশিয়েশন হবে সেই সঙ্গে ঘরে ওদের তৈরী জিনিস থাকলে বাচ্চারা ঘরের যত্ন নিতে শিখবে
বিছানা
খাটের উচ্চতা বেশী না রাখাই ভালো কারন খাট থেকে পড়ে গেলে বাচ্চার লাগতে পারে ৷ মেয়েদের ক্ষেত্রে রাউন্ড শেপের বেড রাখা যেতে পারে ৷ যদি ২টো থাকে তাহলে দোতলা খাটও বেশ ভালো মানাবে ৷
আলো
বাচ্চাদের ঘরে জোড়ালো আলো হলেই ভালো হয় কারন কম আলোয় ওদের পড়াশোনা করতে অসুবিধে হবে ৷ ওয়াইট কালার লাইট –ই একদম পারফেক্ট কিড্স রুমের জন্য ৷
লাইব্রেরি
ছোট খেকেই ওদের পড়ার অভ্যাস তৈরী করতে হবে ৷ ঘরের একদিকের দেওয়ালে বই রাখার ব্যবস্হা করে দিন ৷ খুব একটা উচ্চতা বাড়াবেন না ৷ দেখবেন ওরা যেন নাগালের মধ্যে পায় ৷ ঘরের দেওয়ালে না হলে আলাদা করে বুক স্টোরেজ বানিয়ে দিন ৷
খেলার জায়গা
আপনার সন্তানের মন ভালো রাখার দায়িত্ব আপনার ৷ ঘরের একদিকে ওর খেলার জিনিস দিয়ে ওর একটা জগৎ তৈরী করে দিন ৷ সেখানে একটা মাদুর বিছিয়ে রাখতে পারেন যেটার ওপর বসে আপনার বাচ্চা আপন মনে খেলতে পারবে ৷
স্টোরেজ
জামাকাপড় এবং অনান্য জিনিস স্টোর করার জন্য মাল্টি পকেট অর্গানাইজারের ব্যবস্হা করুন ৷ যাতে এক জায়গাতেই সব জিনিস পাওয়া যায় ৷
এছাড়ও এখন বিভিন্ন থিমের ওপর বাচ্চাদের রুম ডেকর করা হচ্ছে ৷ যেমন, মিকি মাউস, টম অ্যান্ড জেরি ইত্যাদি ৷ এগুলোও ট্রাই করা যেতে পারে ৷