[ad id=”28167″]নিজের মৃত্যু কামনা করলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। কিন্তু কেন? তার বক্তব্য: ‘আমি এমন দেশে বাঁচতে চাই না যে দেশে ইসলাম ধর্মের আলোচনা করতেও পুলিশের প্রয়োজন হয়।’ তার অভিযোগ, দেশের গণতন্ত্র এখন ইনসেনটিভ কেয়ারে আছে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আশির দশকের ১০১ জন ছাত্রনেতা আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বিএনপির কাউন্সিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেভাবেই হোক, যেখানো হোক, যত কষ্ট হোক বিএনপির কাউন্সিল হবেই।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্রদোহ মামলা বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নয়, মামলা হওয়া উচিৎ ছিল যারা বিডিআর হত্যার মত জঘণ্য হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে। এই হত্যাকাণ্ড কারা ঘটিয়েছে, কোথায় তার আলোচনা হয়েছে সবই আমি জানি। কিন্তু এই মূহর্তে বলবো না, সেই দিন আসেনি। সময় এলেই সব বলে দেব, এক এক করে সব নাম বলে দেব।’
যে আইনজীবী বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেছে তিনি সঠিকভাবে ‘রাষ্ট্রদ্রোহ’ লিখতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘এদের দ্বারা সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। কার নির্দেশে এরা দলীয় প্রতিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে? এতে দেশে গৃহযুদ্ধ, হানাহানি লেগে যেতে পারে।
‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহ মামলা: মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীনতা ও রুগ্ন গণতন্ত্র’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সমন্বয়কারী সরওয়ার আজম খান।
বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, আশির দশকের কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড. নজরুল হক নান্নু, আবু তাহের তালুকদার, সাইফুদ্দিন খাঁন, অল কমিউনিটি ফোরামের উপদেষ্টা আশরাফ উদ্দীন বকুল, দেশ বাঁচও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কাজী রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।