[english_date]

বাংলাদেশ পুলিশের প্রশংসা করলেন জাতিসংঘ

বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের নৈতিকতা, শৃঙ্খলাবোধ এবং পেশাদারিত্ব আজ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিভিন্ন দেশে শান্তি স্থাপনে অনন্য অবদান রেখে চলেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার প্রশংসা করে জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে বিশ্বের ৮টি দেশে বাংলাদেশ পুলিশের এক হাজার ১১১ জন সদস্য পেশাদারিত্ব বজায় রেখে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন।

বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন দারফুর, সুদান (ইউএনএএমআইডি) পরিদর্শনকালে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বাংলাদেশ পুলিশের এ প্রশংসা করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া এবং পুলিশ সদর দফতরের ইউএন অ্যাফেয়ার্স শাখার এএসপি কফিল উদ্দিনও প্রতিনিধি দলে ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউএনএএমআইডি পুলিশ কমিশনার মিস প্রিজিলা, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফ্রান্ক কফি স্যামির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধি দল জয়েন্ট এইউ-ইউএন স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ ফর হেড অব ইউএনএএমআইডি এবং জয়েন্ট চিফ মেডিয়েটর মার্টিন আইওইজিয়ানইউয়োমোইভির সঙ্গে বৈঠক করেন।

জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষ দারফুর, সুদান শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ পুলিশের কর্মদক্ষতা ও পেশাদারিত্বে মুগ্ধ হয়ে মিশন কর্তৃপক্ষ দারফুর, সুদান মিশনে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের আইপিও মেয়াদ এক বছর থেকে ৬ মাস বাড়িয়ে ১ বছর ৬ মাস করার অনুরোধ জানান। তারা জাতিসংঘের ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের পাশাপাশি সুদানে শান্তিরক্ষায় সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রতিনিধি দল এল ফেসারে বাংলাদেশ পুলিশ কন্টিনজেন্টের ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তারা সেখানে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে মিশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ