বাংলাদেশ থেকে বিমানের জ্বালানি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেপাল। এ জন্য জ্বালানি আমদানির মাধ্যম হিসেবে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘পেট্রোম্যাক্স নেপাল’-এর সঙ্গে একটি চুক্তিও করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি কয়েকদিনের মধ্যেই প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে চার লাখ লিটার বিমানের জ্বালানি আমদানি করবে।
নেপালের নতুন সংবিধান সংশোধনের দাবিতে গত ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভারত সীমান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ তল্লাশিচৌকি অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। তাই ভারত থেকে হিমালয় রাষ্ট্রটিতে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
রাষ্ট্রপরিচালিত নেপাল অয়েল করপোরেশনের (এনওসি) মুখপাত্র মুকুন্দ ঘিমিরে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে বিমানের জ্বালানি আনার জন্য আমরা পেট্রোম্যাক্স নেপালের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। আগামী তিন থেকে চারদিনের মধ্যে এই জ্বালানি আমদানি করা হবে।’
মুকুন্দ আরো বলেন, ‘পেট্রোম্যাক্স প্রতিদিন চার লাখ লিটার জ্বালানি আনতে রাজি হয়েছে; যা দিয়ে আমাদের সমস্যার সমাধান হবে এবং আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাকেও এই জ্বালানি সরবরাহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে এনওসি জ্বালানি সরবরাহ কম হওয়ায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল। রাষ্ট্রপরিচালিত নেপাল এয়ারলাইনসসহ ছয়টি এয়ারলাইনস অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করে। গত সপ্তাহে পেট্রোলিয়াম সরবরাহ চুক্তির পর বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি আমদানিতে গতকাল শনিবার এই চুক্তি করল নেপাল। এর মাধ্যমে নেপালে জ্বালানি সরবরাহে ভারতের একাধিপত্য বন্ধ হলো। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বীরগঞ্জে মাধেসি সম্প্রদায়ের বিক্ষোভের কারণে সীমান্তে অবরোধ শুরুর পর গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে নেপাল জ্বালানি সংকটে ভুগছে। বিক্ষোভের কারণে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সীমান্তে পণ্য পারাপার ধীরগতিতে হচ্ছে। কাঠমান্ডু অভিযোগ করেছে, নয়াদিল্লি অনানুষ্ঠানিক অবরোধ আরোপ করেছে। কিন্তু নয়াদিল্লি তা প্রত্যাখ্যান করেছে।