বর্ষায় পদ্মার প্রবল স্রোতে ভাঙ্গছে নদীর দু’কূল। ফলে মূল সেতু নির্মাণসহ পদ্মা সেতুর অন্যান্য প্রকল্পে কিছুটা ধীরগতি নেমে এসেছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। তাই কাজের গতিতে প্রভাব ফেলতে পারবে না বর্ষা মৌসুম। এছাড়া বৃষ্টির সময়ের কথা বিবেচনায় রেখেই ২০১৮ সালের মধ্যে কাজের চূড়ান্ত শিডিউল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তারা।
আষাঢ়ের প্রবল বর্ষণ আর নদীতে তীব্র স্রোত। ঢেউ ভাঙ্গছে কূলে। প্রতিমুহূর্তেই পাড় ভাঙ্গার শঙ্কা। গত মাসের মাঝামাঝি সময় মাওয়ায় চীনা কোম্পানির ওয়ার্কশপের পাশেই ভেঙ্গে পড়ে প্রায় দেড়শ মিটার এলাকা। নদীগর্ভে হারায় এখানকার স্থাপনাসহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি। আগে থেকে নদী শাসনের কার্যক্রম চালিয়েও রোধ করা যাচ্ছে না এ প্রাকৃতিক ভাঙ্গন। ফলে পদ্মায় মূল সেতুর নির্মাণকাজে ধীরগতির আশঙ্কা। পুরো বর্ষা মৌসুম জুড়েই তাই ভাঙ্গন কবলিত এলাকাগুলোয় ফেলা হচ্ছে বালুর বস্তা। নদীর পাড়ে কর্মব্যস্ত কর্মীরা। তাদের কাজেও মাঝে মাঝে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে বৃষ্টি।
তবে, কর্মকর্তারা বলছেন, কাজের অগ্রগতিতে বর্ষাকে ঠিক হুমকি বলে মনে করছেন না তারা। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তোফাজ্জল হোসাইন বলেন, ‘শিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। যথা সময়ে কাজ শেষ হবে আশা রাখি। বর্ষাতে কাজের কোন ক্ষতি হবে না। ‘
তবে মূল সেতু ছাড়া সার্ভিস এরিয়া নির্মাণ এবং নদী শাসন কাজে কিছুটা ধীরগতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। যদিও তারা বলছেন, বর্ষায় এ ধীরগতিকে আমলে নিয়েই কাজের শিডিউল চূড়ান্ত করা হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প প্রজেক্ট ম্যানেজার কর্নেল মো. মনিরুল হক বলেন, বিল্ডিং এর কাজে বর্ষা প্রভাব ফেলছে। তবে সবকিছুকে বিবেচনা করেই কাজ শেষ করতে হবে। ‘ সেতু বিভাগ জানিয়েছে, মূল সেতুর কাজ জুন মাসে যেখানে ৯ দশমিক চার নয় শতাংশ হওয়ার কথা সেখানে এখন পর্যন্ত কাজ এগিয়ে রয়েছে ১১ দশমিক ছয় দুই শতাংশ।