মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ম কারাবরণ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, ওয়ান ইলেভেন সরকারের মত বর্তমান সরকারেরও টার্গেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জিয়া পরিবার।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ১/১১ সরকারের টার্গেট তারেক রহমান। ১/১১ সরকার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে নির্যাতন করেছে। নির্যাতন কওে তার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল তারেক রহমানকে হত্যা করা। বর্তমান সরকারও তারেক রহমান, জিয়া পরিবার ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ভয় পায়। তাই তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে দূরে সরিয়ে রেখেছে।
তিনি বলেন, ১/১১ সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসনের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তারা পমাইনাস দু ফরমুলার কথা বলে মাঠে নামলেও আসলে তার মাইনাস ওয়ান করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে। তারা দেশী ও বিদেশী চক্রান্তের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চেয়েছিল। জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে তারেক রহমানের ১০ কারাবরন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ২০০৭ সালের ৭ মার্চ তারেককে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কের বাসা থেকে যৌথ বাহিনী গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে ১২টি দুর্নীতির মামলা দেয়া হয়। এর মধ্যে একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ টি মামলার আসামী ছিলেন। তিনি প্যারলে বিদেশে চিকিৎসা করতে গেছেন। জামিন নেন নাই। এখন জানি না আপনি জামিন নিয়েছেন কিনা? প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়ে কটাক্ষ করে যে বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বহিভূত কাজ করেছেন। একটি দলের প্রধান হয়ে অন্য দলের প্রধান সর্ম্পকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা আপনার এই বক্তব্যর তীব্র নিন্দা জানাই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি মুনির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা এ্যাড. শিরিন সুলতানা, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।