বন্যার চিন্তা মাথায় নিয়ে দেশে ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যক্তিগত সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন রাতের বিমানের টিকিট কাটার। অগত্যা তড়িঘড়ি টিকিট কাটতে ছুটেছেন সঞ্জয় মিত্র ও তাঁর দলবল। অর্থাৎ নিজের পাঁচদিনের সফর শেষের আগেই রাজ্যে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাজ্যের আমলা সহ বাকি সঙ্গিরা লন্ডনে থেকে যাচ্ছেন, তারা ফিরবেন ৩১ তারিখেই। কলকাতা থেকে বিমান ধরার সময়ও মুখ্যমন্ত্রী বলে গিয়েছেন শহর থেকে ৬,৪৭২ মাইল দূরে থাকলেও মন পড়ে থাকবে এখানেই। কারণ মমতা যাওয়ার একদিন আগে থেকে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ। নিজের কথা রাখতেই রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সফর শেষের দুদিন আগে দেশে ফিরছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবারের, মঙ্গলবারের পর বুধবারেও দাপট বজায় রেখেছে নিম্নচাপ। এমনকী নিজের অবস্থান না বদলে বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে দাঁড়িয়ে রয়েছে নিম্নচাপটি। আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘‘কোনও নিম্নচাপ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে শক্তি বাড়িয়ে যেতে থাকলে তার গতিপ্রকৃতি আঁচ করা যায় না। তাই আমাদের ২৪ ঘণ্টা ধরে নজর রাখতে হয় ওই নিম্নচাপের উপরে।’’ এদিকে নিম্নচাপের জেরে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, বাঁকুড়াতেই বেশি বৃষ্টি হবে। ওই সব জেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও প্রবল।
এমত অবস্থায় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে গড়া টাস্ক ফোর্স একা এই অবস্থার মোকাবিলা করতে পারবে না বুঝেই দেশে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।