রাজধানী ঢাকার পর বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এরই অংশ হিসেবে আবাসিক এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনার পর নগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় এবং স্থাপনায় যৌথ বাহিনী তল্লাশিও চালাচ্ছে।
গত ক’দিন ধরে রাজধানী ঢাকায় একের পর এক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চললেও বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এখনও অনেকটা শান্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে দুর্বৃত্তরা চট্টগ্রামেও নাশকতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তারই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয় বিজিবি’র ডগ স্কোয়াডও। আর এখন নগরীতে চলছে যৌথ বাহিনীর তল্লাশি। এসব তল্লাশিতে র্যাব এবং পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছে বিজিবিও।
সিএমপি দক্ষিণের উপ-পুলিশ কমিশনার কামরুল আমিন বলেন, ‘আমরা গাড়ি তল্লাশি করছি যদি কোনও নাশকতাকারী থাকে তাহলে তাকে হাতেনাতে ধরবো। এছাড়া অন্যান্য মাদক দ্রব্যসহ অবৈধ কিছু পেলে হাতেনাতে ধরবো।
‘
কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ‘সামনে যুদ্ধাপরাধীদের রায় কার্যকরের বিষয় এর সঙ্গে জনজীবনে একটা স্বস্তি ফিরিয়ে আনা, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখাসব বিভিন্ন কারণে পর্যায়ক্রমে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে, নগরীর প্রতিটি আবাসিক এলাকা এবং বহুতল ভবনে সিসি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশনার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে বসবাসকারীদের প্রতিনিধিরাও।
চলতি বছরের শুরু’র দিকে বিরোধীদলের আন্দোলন চলার সময় চট্টগ্রামে তেলের স্থাপনায় আগুন দেয়ার মতো বড় ধরণের নাশকতার প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।