
বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতি মিথ্যা দাবি করে লতিফের পক্ষে সাত সাংসদ সদস্য বিবৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে লালদীঘির ময়দানের সমাবেশে লতিফকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান ওই সাত সাংসদ।
বিবৃতিদাতারা হলেন- চট্টগ্রাম ১০ আসনের সাংসদ ডা. আফছারুল আমীন, চট্টগ্রাম-৬ আসনের এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ আসনের শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম-৩ আসনের সাংসদ মাহফুজুর রহমান।[ad id=”28167″]
বিবৃতিতে সাত সাংসদ বলেন, “ছবি বিকৃতির আত্মস্বীকৃত ডিজাইনারের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়ে এম এ লতিফের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার উদ্দেশ্যে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য কোনোভাবেই একজন দায়িত্বশীল নেতার আচরণ হতে পারে না।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “আওয়ামী লীগ থেকে দুবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম এ লতিফের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃতির মিথ্যা অভিযোগ এনে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি নাগরিক মঞ্চের উদ্যোগে লালদীঘি মাঠে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী যে বক্তব্য দিয়েছেন, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
এদিকে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগ থেকে বাঁচতে আবদুল লতিফ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন, এমন আশঙ্কা করে তার পাসপোর্ট জব্দ করার আবেদন জানিয়েছেন এম এ লতিফের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার বাদী ও যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুদ্দিন আহমেদ রবি। বুধবার আদালতের মাধ্যমে তিনি এ আবেদন জানান।
চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম ফরিদ আলমের আদালতে এই দুই মামলায় পৃথকভাবে এ-সংক্রান্ত দুটি আবেদন জমা দেওয়ার পর আদালত তা গ্রহণ করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রাম সফরের সময় সেখানে এম এ লতিফের নামে বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ দেহের ছবিসংবলিত পোস্টার ও ব্যানার টানানো হয়। তাতে লতিফের দেহের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মুখ সংযোজন করা হয়।