
[quote font=”arial”]ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন পে- স্কেলে বেতন-ভাতা প্রদানের দাবিতে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন ও সমাবেশ [/quote]
[ad id=”28167″]
১ জুলাই ২০১৫ থেকে বকেয়াসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে জানুয়ারি মাসের বেতনের সাথে নতুন পে-স্কেল কার্যকরের ঘোষণা দিলেও চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেও নতুন পে-স্কেলে বেতন ভাতা না দেয়ার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সভাপতি শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সুনীল চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকবিশিস কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর। সভায় বক্তারা বলেন, সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের গত ডিসেম্বর ২০১৫ থেকে নতুন স্কেলে বেতন প্রদান করা হয়। কিন্তু এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেও নতুন স্কেলে বেতন না দেয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়হীনতা এবং শিক্ষক সমাজ তথা সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি চরম অবহেলার বহি:প্রকাশ। যেখানে বাংলাদেশ সরকার ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম পে-স্কেল সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সাথে একই দিনে একযোগে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দিয়ে আসছেন। এমনকি ২০% মহার্ঘ ভাতাও একই নিয়মে পেয়ে আসছেন। নতুন ৮ম পে-স্কেল যথানিয়মে কার্যকর না করে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক অধিকার ও আইনের পরিপন্থি কাজ করেছেন বলে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ মনে করেন। তাঁরা এটাও মনে করেন সরকারি আমলাদের একটি বৃহৎ অংশ এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে কঠোর আন্দোলনের দিকে ঠেলে দিয়ে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টা করছেন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিশেষ অনুরোধ আর্থ-সমাজিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সরকারি আমলাদের ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রেহাই দিয়ে চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন পে-স্কেলে বকেয়া সহ বেতন ভাতা প্রদান করার জোর দাবি জানান। অন্যথায় ৫ লক্ষ এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলে কঠোর আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে যা রোধ করা সরকারের পক্ষে কঠিন হবে।
সভায় বক্তব্য রাখেন বাকবিশিস বিভাগীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক উত্তম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বাশিস আঞ্চলিক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ লকিতুল্লাহ, অধ্যাপক কানাই দাশ, অধ্যক্ষ আবুল মনসুর মো: হাবিব, অধ্যক্ষ মো: রফিক উদ্দিন, বাশিস নেতা অঞ্চল চৌধুরী, প্রদীপ কানুনগো, অধ্যক্ষ সজল চৌধুরী, অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য্য, অধ্যাপক নোমান আহমাদ ছিদ্দিকী, অধ্যাপক লতিফা কবির, মো: জানে আলম, মো; ওসমান গণি, ছগির আহমদ, অধ্যক্ষ আবু ইউসুফ, শিক্ষক নেতা শান্তি রঞ্জন চক্রবর্ত্তী, শিক্ষক নেতা আবদুর রহিম চৌধুরী, অধ্যক্ষ আমজাদ আলী মজুমদার, অধ্যক্ষ শিমুল বড়–য়া, অধ্যক্ষ কৃষ্ণ কুমার দত্ত, অধ্যক্ষ সুধীর চক্রবর্ত্তী, অধ্যাপক শ্যামল দাশ, অধ্যাপক নুরুল মোমেন চৌধুরী, অধ্যাপক হামিদা বেগম, মনিকা দে, মুজিবুল হক, অধ্যাপক ভবরঞ্জন বণিক প্রমুখ।