ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে কুড়িগ্রামে ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে ঘুড়ি উড়িয়েছে একদল যুবক। মঙ্গলবার ধরলা নদীর পাড়ে ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে ঘুড়ি ওড়ানো হয়।
আয়োজকরা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। মুসলমানরাও তাই শান্তিতে বিশ্বাস করে। আমরা সংঘাত চাই না। কিন্তু বিশ্ব শান্তির আড়ালে মোড়ল রাষ্ট্রের দ্বিমুখী আচরণ দখলদার ইসরাইলকে মারমুখী করে তুলেছে। তারা সেখানে নির্বিচারে শিশু থেকে বৃদ্ধ-নরনারীকে হত্যা করছে।
তারা আরও বলেন, আমরা মুসলমান; আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি। তিনি আমাদের সাহায্য করবেন। মুসলমানদের বিজয় সুনিশ্চিত হবেই। আর তাই ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া হলো। ইসলামের বিজয় সুনিশ্চিত; ফিলিস্তিনিদের বিজয় সুনিশ্চিত।
ধরলা সেতুপাড়ের ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, আজ দেখলাম কিছু ছেলে ফিলিস্তিনের পতাকার আদলে ঘুড়ি বানিয়ে উড়িয়েছে। পরে জানতে পারলাম ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ চলছে; অনেক মুসলমান নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। এ কারণেই তারা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে উড়িয়েছে।
সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের জালালের মোড় এলাকার আয়োজক ফজলে রাব্বি বলেন, ফিলিস্তিনি আদলে এ ঘুড়িটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় এক মাস। ঘুড়িটির দৈর্ঘ্য ১২ ফিটেরও বেশি। কয়েক দিন আগে ঘুড়িটি তৈরি হয়েছে, কিন্তু বাতাস না থাকায় ওড়াতে পারিনি।
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চলছে। কিন্তু গ্রামের সহজ-সরল মানুষ তা জানে না। তাই ঘুড়িতে ফিলিস্তিনের আদলে পতাকা লাগিয়ে তা উড়িয়ে তাদের জানানোর চেষ্টা মাত্র। কেননা, ফিলিস্তিনের মুসলমানরা নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করছে।