প্লাস্টিকের ডিম, চাল আর বাঁধাকপির পর এবার বাজারে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে প্লাস্টিকের দুধ। প্লাস্টিকের দুধ ধারণাটির সূত্রপাত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়।কলকাতার বালুরঘাট এলাকার বড়বাজারের দুধপট্টি থেকে এক লিটার দুধ বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মী মানস দাস। ওই দুধ ফোটাতেই দেখেন ছানার মতো কি একটা যেন হয়ে গেছে। পরে মনে হল এ যেন প্লাস্টিকের দুধ।
হতবাক মানস দাস প্রতিবেশী ও বন্ধুদের ডেকে বিষয়টি দেখান। তাঁদের একজনই ওই দুধ পরীক্ষা করেন। পরীক্ষায় জানা যায় ওই দুধে প্লাস্টিকের প্রায় সব উপাদানই মজুত। পরে মানস দাস এই পুরো ঘটনাটি তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন। আর নিমিষেই ভাইরাল হয়ে যায় তাঁর ওই পোস্ট। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে গোটা দক্ষিণ দিনাজপুরে। দুধের নমুনা পরীক্ষায় নেমেছে ওই এলাকার খাদ্য সুরক্ষা দপ্তর।
জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট দুধপট্টি থেকে মানস ওই দুধ সংগ্রহ করেন। ফোটানোর পর দুধ তরল প্লাস্টিকে পরিণত হয়।
এরপর গতকাল সোমবার জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ মালো দুধপট্টিতে অভিযান চালায়। সেখানে একটি দোকানে এই ‘প্লাস্টিকের দুধের’ সন্ধান পান ওই কর্মকর্তারা। জানান, ওই কারখানায় রাসায়নিক পদার্থ মিশিয়ে দুধ তৈরি করা হচ্ছিল।
এই ঘটনায় দুধপট্টিসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে এখন তুমুল আলোচনা। জেলা খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা এরইমধ্যে ওই দুধপট্টি বাজার থেকে দুধের ড্রাম ও বিক্রেতাদের চিহ্নিত করে বোতলে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ওই দুধ পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারেও। দুধে ক্ষতিকারক কিংবা অন্য কোনও রাসায়নিক উপাদানের প্রমাণ মিললেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা।