রাজধানী তেজগাঁও নাখালপাড়ার তরুণী গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে নিজের আগুনে দগ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। নিহত দগ্ধ শান্তা রাজধানীর তেজগাঁওয়ের নাখালপাড়ার এলাকার আব্বাস আলীর মেয়ে। তিনি নাখালপাড়ার একটি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়তেন।
জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে মোবাইল ফোনে শান্তার সঙ্গে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও গ্রামের তৌহিদুর রহমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মন দেয়া নেয়া শুরু হয়। বেকারত্ব ঘোচাতে কয়েক মাস আগে তৌহিদুর মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকে তৌহিদ প্রেমিকা শান্তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার শান্তা ঢাকা থেকে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় প্রেমিক তৌহিদের বাড়িতে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। পরে তাকে গুরুত্বর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে তিনি মারা যায়।
দগ্ধ শান্তার বড় বোন রেবেকা সুলতানা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে মোবাইলে শান্তার সঙ্গে গাজীপুর কাপাসিয়ার নলগাঁও গ্রামের তৌহিদুর রহমান নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় ৬ থেকে ৭ মাস আগে তৌহিদুর মালয়েশিয়া চলে যান। এরপর থেকে তিনি শান্তার সঙ্গে খারপ ব্যবহার করতে থাকেন। বুধবার আমরা খবর পাই-শান্তা গাজীপুরে ওই ছেলের বাড়িতে গিয়ে নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
নিহতের বোন রেবেকা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তৌহিদুরের মামা শামীম শেখ বলেন, গুরুতর অবস্থায় শান্তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
























