[english_date]

প্রশাসনের নির্দেশে বাঁশখালীতে এরশাদের জনসভা আপাতত স্থগিত

আপনারা অবগত আছেন যে, ১৯৬০ সালের দশক হইতে ছাত্রলীগে রাজনৈতিক তথা মুক্তিযোদ্ধাদের সাংগঠনিক ভিত্তির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকিয়া অদ্যবধি রাজনৈতিক অঙ্গনে বিচরণ করিতেছি। জাতীয় সংসদে আমার নির্বাচনী এলাকা বাঁশখালীর মাটি ও মানুষের সাথে আমার রয়েছে এক গভীর সংযোগ। ১৯৭২ হইতে আমি বাঁশখালী রিক্সা ও টেক্সি এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে ৯০ দশক পর্যন্ত তাহাদের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে এবং স্থানীয় অনেক দাবী-দাওয়া আদায় করে দিয়েছিলাম। অনুরুপভাবে বাঁশখালীতে সাম্পান মাঝি, ট্রলার এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে ১৯৮০ দশকে রুটঘাট টেক্সীসহ বিভিন্ন অন্যায় টেক্স হইতে শ্রমিকদেরকে মুক্ত করেছি। বাঁশখালীতে কোস্টার সার্ভিস, ট্রাক সার্ভিস আমার পৃষ্ঠপোষকতায় চালু করা হয়। ইদানিংকালে বাঁশখালী, সাতকানিয়া, পেকুয়াতে কয়েক হাজার সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল। করে। ২০১৫ সালে বাঁশখালী পৌরসভায় সিএনজি অটো রিক্সার উপরে টোল টেক্স আমার হস্তক্ষেপে ও আমার আন্দোলনে বন্ধ হয়ে যায। বাঁশখালী, পেকুয়া ও সাতকানিয়া (পশ্চিমাংশ) সমস্ত সিএনজি চালিত গাড়িকে কর্ণফুলী থানায় গ্যাস ষ্টেশন হইতে গ্যাস নেওয়ার জন্য তৈলারদ্বীপ সেতুর উপর দিয়ে আসা-যাওয়া করিতে হয়। প্রত্যেক সিএনজিকে কোস্টার এর সমপরিমান সেতুর টোল প্রদান করিতে হইত। সিএনজি পরিবহন শ্রমিকদের পক্ষে অত্র টোল টেক্সের ব্যাপারে আমি সেতু-মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে ১৫ টাকা হইতে ৮ টাকায় নির্ধারণ করিতে সক্ষম হই। এইজন্য ওবায়দুল কাদের সাহেব সেতুমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। সম্প্রতি তৈলারদ্বীপ সেতুর উপর সরকার টোল আদায়ের লক্ষ্যে ইজারা প্রদানের জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। উক্ত টেন্ডারের বিরুদ্ধে সমস্ত শ্রমিকদের পক্ষে আমি মহামান্য হাইকোটের রিট মোকদ্দমায় দাখিল করে ইজারা প্রদান বন্ধ করা হয়।
বিগত ২০ আগস্ট হইতে সড়ক বিভাগের কিছু প্রকৌশলী ইজারা দায়ের পরিবর্তে নিজস্ব উদ্যোগে টোল আদায়ের সুযোগ করিলে হাইকোর্টের অপর আদেশে তাহাও বন্ধ হয়ে যায়। বাঁশখালী, পেকুয়া, সাতকানিয়া (পশ্চিমাংশ) সমস্ত পরিবহনের শ্রমিকদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আমি তাহাদের একজন হিসেবে আন্দোলন সংগ্রামে জড়িত আছি। সকল পরিবহন শ্রমিকগণ একজোট হয়ে আমাকে সংবর্ধনার প্রস্তাব করিলে আমি উক্ত সংবর্ধনা সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত করার জন্য আবেদন করিলে অত্র সভায় এরশাদ সাহেব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখার সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। সেই হিসেবে ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার বৈলছড়ী নজমুন্নেচ্ছা হাই স্কুলের মাঠে সমস্ত জনসভার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নিয়মানুযায়ী দরখাস্ত প্রদান করেছি। ইতিমধ্যে গতকাল ১৭ সেপ্টেম্বর বিকালে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী পুলিশ পাহারায় উক্ত জনসভার বিরুদ্ধে বাঁশখালীতে এক পেশীশক্তির মহড়া প্রদর্শন করে। তাহার কিছুক্ষণ পর পুলিশ প্রশাসন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ হইতে আমাকে টেলিফোনে উক্ত সভা এখন না করে তালিখ পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ করে। আমি সাথে সাথে বিষয়টি এরশাদ সাহেব তথা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে অবহিত করিলে তিনি হতভাগ হয়ে যান এবং অত্র বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর হইতে ফেরৎ আসার পরে সামগ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ সাপেক্ষে অত্র সভার নতুন করে তারিখ প্রদানের জন্য আমাকে পরামর্শ দেন। অত্র বিষয়ে বাঁশখালী তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামে আপামর মানুষের ব্যাপক প্রস্তুতি প্রমাণ করে একটি ঐতিহাসিক জনসভাকে কি কারণে এবং কাহার ইঙ্গিতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের লক্ষ্যে এহেন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে তাহা প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসলে বিষয়টি উত্তাপন করা হবে। অতএব আপাততঃ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবারের গণ সংবর্ধনা স্থগিত ঘোষণা করে নতুন তারিখ প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে আগমনের পরে পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আমিনুর রশিদ চেয়ারম্যান, বাঁশখালী কেন্দ্রীয় অটো রিক্সা সিএনজি পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন আবদুস ছবুর, সাধারণ সম্পাদক মো: আনছার, সহ-সভাপতি আবদুল বারেক, মো: শহিদুল্লাহ, আহমদ হোসাইন, অর্থ সম্পাদক বদিউল আলম, নগর জাপা নেতা নাছির উদ্দিন ছিদ্দিকী প্রমুখ। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

Share on facebook
Share on twitter
Share on whatsapp
Share on print

মন্তব্য করুন

সর্বশেষ সংবাদ